প্রথমে মাথা ঠুকে খুন, তার পর ইট দিয়ে থেঁতলানো হয় মাথা। খুনের পর সময় নিয়ে ঠান্ডা মাথায় দেহ লোপাটের পরিকল্পনা। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। লাশ ভরা ট্রলি গঙ্গায় ভাসাতে গিয়ে হাতে নাতে ধরা পড়লেন দুই অভিযুক্ত মহিলা। সুমিতা ঘোষকে খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত ফাল্গুনী ঘোষ এবং তাঁর মা আরতি ঘোষকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল বারাসত আদালত।
ট্রলিতে মৃতদেহ পুরে মঙ্গলবার গঙ্গায় ভাসাতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েন আরতি ঘোষ ও তাঁর মেয়ে ফাল্গুনী ঘোষ। তদন্তে জানা যায়, ট্রলিতে থাকা ওই মৃতদেহ ফাল্গুনীর পিসিশাশুড়ি সুমিতা ঘোষের। পুলিশ সূত্রে দাবি, ফাল্গুনী ও আরতিই মাথায় আঘাত করে হত্যা করেন সুমিতাকে। পরে দেড়দিন ধরে রেইকি করে ঠান্ডা মাথায় দেহ লোপাটের পরিকল্পনা তৈরি করেন। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার আদালতে পেশ করা হয় দুই অভিযুক্তকে।
এ দিন অভিযুক্ত আরতি ও ফাল্গুনীর হয়ে আদালতে আবেদন করেন আট জন আইনজীবী। তাদের জামিনের আবেদনে দাবি করা হয়, আরতি ঘোষ ও ফাল্গুনী ঘোষের কাছে মৃতদেহ বোঝাই ট্রলি ব্যাগের চাবি ছিল না। এ ছাড়াও আরতি ঘোষের শারীরিক অবস্থার কথা তুলে ধরেও তাদের জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী। যদিও তাদের আবেদন খারিজ করে দুই অভিযুক্তকেই ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠান বিচারক। বৃহস্পতিবার আদালতেই শুনানি চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন আরতি ঘোষ।
সরকার পক্ষের আইনজীবী শান্তময় বসু শুনানির সময় দাবি করেন, অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করবেন ভবিষ্যতে। পাল্টা বিপক্ষের আইনজীবীদের দাবি, দু’জনকেই নির্দোষ প্রমাণ করবেন তাঁরা।