মেদিনীপুর পিপলস কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের ভোটের মনোনয়ন তুলতে না পেরে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সিপিএম সমর্থিত প্রার্থীরা। আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় মনোনয়ন জমা করলেন চার প্রার্থী। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দের নির্দেশ মেনে এ দিন মনোনয়ন জমা করেন চার সিপিএম প্রার্থী—অজয় মিত্র, সুকুমার আচার্য, সোমনাথ দেব এবং উত্তম চক্রবর্তী। কড়া পুলিশি পাহারায় পিপলস কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের উল্টো দিকে দলীয় কার্যালয় থেকে বেরিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁরা।
৫১টি আসনের এই সমবায় সমিতিতে আগামী ২৩ মার্চ নির্বাচন। প্রায় ১১ বছর পর মেদিনীপুর শহরের পিপলস কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে নির্বাচন হচ্ছে। নয়ের দশক থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত টানা এই সমবায় ব্যাঙ্কে ক্ষমতায় ছিল সিপিএম। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর তৃণমূল এই ব্যাঙ্কে ক্ষমতায় আসে।
সোমবার ২৪ ফেব্রুয়ারি ও মঙ্গলবার ২৫ ফেব্রুয়ারি মনোনয়ন তোলাকে কেন্দ্র করে তুমুল অশান্তি হয়েছিল এই সমবায় ব্যাঙ্কে। সিপিএম-সহ অন্য বিরোধীরা মনোনয়ন তুলতে বাধা পায় বলেও অভিযোগ তোলে। বুধবার আদালতে যান সিপিএমের চার প্রার্থী। আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত মনোনয়ন তোলা ও জমা দেওয়া হয়।
সিপিএমের মেদিনীপুর শহর পূর্ব এরিয়া কমিটির সম্পাদক কুন্দন গোপের দাবি, তাঁদের ৫১ জন প্রার্থীই বুধবার মনোনয়ন দিতে এসেছিলেন। মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয় তাঁদের। ছাড় পাননি বয়স্ক, মহিলারাও।
আদালতের দ্বারস্থ হওয়া চার প্রার্থীর মধ্যে অন্যতম সুকুমার আচার্য বলেন, ‘আমরা মঙ্গলবার মনোনয়ন জমা করতে এসেছিলাম। আমাদের মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। তার পরই আমরা আদালতের শরণাপন্ন হই। আদালত গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি শোনে এবং আমাদের মনোনয়ন জমা নেওয়ার নির্দেশ দেয়।’
আদালতের নির্দেশ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে না চাইলেও তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরার দাবি, তৃণমূলের তরফে মনোনয়নে বাধা দেওয়া হয়নি।