• পানাগড় কাণ্ডে গ্রেপ্তার প্রভাবশালী বাবলু যাদব
    দৈনিক স্টেটসম্যান | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • অবশেষে বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে পানাগড় কাণ্ডে মূল অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে কাঁকসা থানার পুলিশ। ধৃতের নাম বাবলু যাদব। ঘটনার চার দিনের মাথায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হলেও এখনও বেপাত্তা তিন অভিযুক্ত। মৃতার মা তনুশ্রী চট্টোপাধ্যায় ধৃতের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। ঘটনার ৪ দিন পর অভিযুক্তদের সাদা ‘ক্রেটা’ গাড়ির মালিক বাবলু যাদবকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর বাবলুর পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়। তাঁদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে কাঁকসা থানার পুলিশ।

    প্রসঙ্গত পানাগড় কাণ্ডে তরুণীর মৃত্যুর পরই আলোচনায় চলে আসে একটি সাদা গাড়ি। অভিযোগ ওঠে, ওই গাড়িতে থাকা যুবকরাই নাকি নৃত্যশিল্পী সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়কে উত্যক্ত করছিল। তিনি ইভটিজারদের হাত থেকে বাঁচতেই বিকল্প পথে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। আর সেটা করতে গিয়েই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে প্রাণ হারাতে হয়েছে তরুণীকে। ঘটনার দিন ঘাতক গাড়ির চালকের আসনে ছিলেন বাবলুই।

    কিন্তু এই বাবলুর আসল পরিচয় কী? স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গাড়ির পুরনো যন্ত্রাংশের ব্যবসায়ী ধৃত যুবক। এলাকায় যথেষ্ট প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত বাবলু যাদব। স্থানীয় কাওয়ারি বাজার এলাকায় তাঁর ব্য়বসা রয়েছে।

    জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে বাবলুর এক কর্মী দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। বর্তমানে হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন। সেজন্য রবিবার রাতে বাবলু তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর এক সহকর্মী। সুতন্দ্রার গাড়ির চালকের দাবি, ওই সাদা গাড়িতে থাকা যুবকরাই ইভটিজিং করছিল মৃতাকে। পুলিশের দাবি, ফেরার পথেই নাকি সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের গাড়ির সঙ্গে রেষারেষি শুরু হয় বাবলুর গাড়ির। সূত্রের খবর, এরপরই রাইস মিল মোড়ের কাছে ধৃতের গাড়ি দাঁড় করিয়ে তাঁর আরোহীদের মারধর করে সুতন্দ্রার গাড়ির আরোহীরা। এমনকী, গাড়ির চাবি কেড়ে নেয়।
  • Link to this news (দৈনিক স্টেটসম্যান)