অর্ণবাংশু নিয়োগী: প্রাথমিকে নিয়োগে নয়া 'দুর্নীতি'। 'কম নম্বর পেয়ে চাকরি পাচ্ছে অথচ প্যানেলে বেশি নম্বর পেয়ে অনেকে প্যানেলে স্থান পায়নি কেন'? হাইকোর্টে ফের প্রশ্নের মুখে পর্ষদ। পর্ষদের রিপোর্টে সন্তুষ্ট নয় আদালত। কারা অযোগ্য? পর্ষদের রিপোর্ট দেখে জবাবী হলফনামা দেবেন মামলাকারীর আইনজীবী। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, 'প্যানেলে দুর্নীতি হয়েছে কিনা সেটাও দেখা দরকার'।
ঘটনার সূত্রপাত ২০০৯ সালে। প্রাথমিকে নিয়োগে অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলার প্রায় ৫০০ পরীক্ষার্থী। এরপর ২০১১ সালে ফের লিখিত পরীক্ষা হয়। কিন্তু সে বছরই আবার নিয়োগ বাতিল হয়ে যায়। শেষে ২০১৪ সালে ফের লিখিত পরীক্ষার ভিত্তিতে ২০২১ সালে প্যানেল প্রকাশ করে পর্ষদ। কিন্তু ৪০০ শূন্যপদ থাকা সত্ত্বেও কেন যোগ্যদের কেন নিয়োগ করা হবে না? ফের হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয় গত বছর অর্থাত্ ২০২৪ সালে।
আজ, বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলাটির শুনানি হয় র বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে। শুনানিতে মামলাকারী তরফে আইনজীবী আশীষ চৌধুরী বলেন, এই মামলায় আগেই রাজ শেখর মান্থার নির্দেশে যাঁরা চাকরি পেতে চলেছেন, সেই নিয়োগ সম্পর্কে অনেক তথ্য গোপন করেছে পর্ষদ। ফলে আদালত জানতে পারেনি, উচ্চ মেধা সম্পন্ন প্রার্থীরা চাকরি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তার জায়গায় কম মেধা সম্পন্নরা চাকরি পেতে চলেছে'।
Zee ২৪ ঘণ্টার সব খবরের আপডেটে চোখ রাখুন। ফলো করুন Google News