শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমানের নিরাপত্তারক্ষীর রহস্যমৃত্যু। বৃহস্পতিবার দুপুরের পর হোটেলের ঘর থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হল। মৃতের নাম মহম্মদ সুলতান (৫৪)। কীভাবে মৃত্যু হল, তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।
তৃণমূল বিধায়ক দলের সভায় যোগ দেওয়ার জন্য কলকাতায়। এদিন দুপুরে ইসলামপুরের তিস্তাপাড়ের একটি হোটেলে গিয়েছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে এক মহিলাও ছিলেন বলে খবর। তাঁকে স্ত্রী হিসেবে হোটেলে পরিচয় দিয়েছিলেন বলে খবর। দুপুরের পর ওই নিরাপত্তারক্ষীকে হোটেলের ঘরেই সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। ওই মহিলাই হোটেলের লোকজনদের বিষয়টি জানান। এরপর পুলিশে খবর দেওয়া হয়। ইসলামপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছয়।
তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা মহম্মদ সুলতানকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কীভাবে মৃত্যু হল ওই নিরাপত্তারক্ষীর? খুন নাকি অন্য কোনও ঘটনা? সেই প্রশ্নও উঠছে। ইসলামপুর থানার পুলিশ ওই মহিলাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। কিছু সময়ের জন্য বাথরুমে গিয়েছিলেন তিনি। পরে ঘরে এসে দেখেন অচৈতন্য হয়ে পড়ে আছেন মহম্মদ সুলতান। আরও তথ্য জানার জন্য পুলিশ ওই মহিলাকে আটক করেছে। হোটেলের কর্মীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। হোটেলের ওই ঘরেও তল্লাশি চালিয়েছেন তদন্তকারীরা। ওই ঘরটিও আপাতত সিল করে দেওয়া হয়েছে। মৃত মহম্মদ সুলতানের বাড়ি মালদহ জেলায়। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে তিনি বিধায়ক হামিদুল রহমানের নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।