• অনুমতি না নিয়ে কৃষিজমিতে প্লটিং করে নির্মাণ! ভূমিদপ্তরে অভিযোগ
    বর্তমান | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, নকশালবাড়ি: শিলিগুড়ি মহকুমার নকশালবাড়িতে যত্রতত্র প্লটিং করে চলছে জমি কেনা-বেচা। কোথাও নদী-নালায় উপর অবৈধ উপায়ে তৈরি করা হচ্ছে কালভার্ট, সেতু। কোথাও আবার সরকারি জমি দখল করে চলছে ঘিরে দেওয়ার কাজ। কৃষিজমির চরিত্র বদল হয়ে যাচ্ছে। বিল্ডিং প্ল্যান ছাড়াই গজিয়ে উঠছে বহুতল। ফের এমনই একটি অভিযোগ উঠল নকশালবাড়ির ভগিলরামজোতে। এলাকার কৃষিজমিতে ইতিমধ্যেই একাধিক প্লটিং করা হয়েছে। জমি মাফিয়াদের মদতে নির্মাণ হচ্ছে পরপর বহুতল। শুধু তাই নয়, নির্মীয়মাণ বহুতলগুলি একই নকশা অনুসরণ করে হচ্ছে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। সম্প্রতি স্থানীয় এক চাষি পুরো বিষয়টি জানিয়ে নকশালবাড়ি ভূমিদপ্তরে অভিযোগপত্র জমা করেছেন। যদিও বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন নকশালবাড়ি বিএলআরও দেবরাজ বাগ। তিনি বলেন, এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তও শুরু করেছি। 


    প্রসঙ্গত, ভগিলরামজোতে একটি পেট্রল পাম্পের পাশ দিয়ে প্লটিং করা হয়েছে। সেই প্লটিংয়ে একাধিক বহুতলও হয়েছে। তিনটি বহুতল একই ডিজাইনে তৈরি হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন স্থানীয়রা। এ বিষয়ে নকশালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, জমি মাফিয়ারা ইচ্ছেমতো যেখানে সেখানে কৃষিজমিতে বহুতল তুলছেন। এলাকায় বহুতল নির্মাণ হলেও গ্রাম পঞ্চায়েত কোনও কিছু জানা নেই। এইভাবে কৃষিজমির ভৌগোলিক অবস্থান পরিবর্তন করা ঠিক নয়। সাধারণত দুই তলা পর্যন্ত পঞ্চায়েত সমিতি বিল্ডিং প্ল্যানের অনুমতি দিতে পারে। তারউপরের বাড়ি বানাতে হলে এসজেডিএ মারফত শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ অনুমতি দেয়। কৃষিজমি বাস্তু করতে পঞ্চায়েতের অনুমতি নিতে হয়। তবে প্রথম ধাপের কাজ না করেই, কৃষিজমিতে নির্মাণ কীভাবে হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন আমার। ভগিলরামজোতের বিষয়টি নিয়ে আমরাও অভিযোগ পেয়েছি। গ্রাম পঞ্চায়েত এক্তিয়ারভুক্ত একাধিক এলাকাতে এই কর্মকাণ্ড ঘটছে। যা নিয়ে আমরা অভিযান চালাব। 


    এদিকে, অভিযোগকারী স্থানীয় চাষি ফুলেশ সিং বলেন, কৃষিজমিতে অপরিকল্পিতভাবে প্লটিং করায় সেচের জল পেতে সমস্যা হচ্ছে। এইভাবেই চলতে থাকলে আগামী দিনে কৃষিকাজ করা যাবে না। এজন্য বিষয়টি নিয়ে ভূমিদপ্তর ও গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে অভিযোগ জানিয়েছি। যদিও এনিয়ে নির্মাণকারীদের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এলাকায় যাওয়া হলেও তাদের কেউই ঘটনাস্থলে ছিলেন না। - নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)