নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা, মালদহ ও সংবাদদাতা, মাথাভাঙা: চম্পাহাটি ভোটার তালিকায় ‘বহিরাগত অনুপ্রবেশ’এর সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ল উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গ— সর্বত্রই। মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং কোচবিহারের ভোটার তালিকায় জাঁকিয়ে বসেছে ভিন রাজ্যের ভোটাররা। কীভাবে বাংলার ভোটার তালিকায় এহেন ‘অনুপ্রবেশ’, তার ব্যাখ্যা বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের বিশেষ অধিবেশন মঞ্চ থেকে দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই আবর্তে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের রানিনগর, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর এবং কোচবিহার জেলার মাথাভাঙা বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার তালিকায় ঢুকে পড়েছে ভিন রাজ্যের ভোটাররা। বাংলার ভোটারের এপিক কার্ডের নম্বর ব্যবহার করে ভিন রাজ্যের ওই বাসিন্দারা এখানকার নির্বাচকমণ্ডলীর তালিকায়। এই আবর্তে আধার কার্ড জালিয়াতির আশঙ্কাও থেকে যাচ্ছে। তবে কি ভাড়া করার সমীক্ষা সংস্থার মাধ্যমে জাল করা হয়েছে এ রাজ্যের বাসিন্দাদের আধার কার্ডও? সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না রাজ্য প্রশাসন।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী নির্দিষ্ট করে অভিযোগ করেন মুর্শিদাবাদের রানিনগর বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে। সেখানকার তিন ভোটার মহম্মদ সাইদুল ইসলাম, মহম্মদ আলি হোসেন ও বানেরা বিবির এপিক কার্ডের নম্বর ব্যবহার করেছে হরিয়ানার চার বাসিন্দা। হরিয়ানার ওই তিন বাসিন্দা হল সোনিয়াদেবী, মনজিৎ এবং দীপক। একইভাবে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর বিধানসভার রতনপুর জুনিয়র বেসিক স্কুলের ১২ নম্বর বুথের ভোটার তসলিম মিয়াঁর এপিক কার্ড নম্বর ব্যবহার করেছে গুজরাতের জনৈক জিগেশ। মালদহ রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মী তসলিম বলেন, এ খবর জানার পর থেকেই আতঙ্কিত। আমার এপিক নম্বর যে ব্যবহার করে ভোটার হয়েছে, সে অপরাধ করলে, দায় তো আমার উপর বর্তাবে!
ভোটার তালিকায় ভুয়ো ভোটারের ‘অনুপ্রবেশ’ নিয়ে সতর্কবাণীর পর এদিন বিকেলে কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক সোশ্যাল মিডিয়ায় একই এপিক কার্ডের ব্যবহার নিয়ে আরও একটি অভিযোগ তথ্য সহকারে তুলে ধরেন। ওই পোস্ট অনুযায়ী, মাথাভাঙা-২ নম্বর ব্লকের ফুলবাড়ি অঞ্চলের ভোটার আরতি সরকার। তাঁর সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্রের নম্বর ব্যবহার করেছে উত্তর প্রদেশের লালগঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের দিদারগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার বিবেকানন্দ প্রভুশঙ্কর!