• ভোটের পর ওরা মতুয়াদের ভুলে যায়, বিজেপিকে কটাক্ষ মমতার
    বর্তমান | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বনগাঁ: বছর ঘুরলেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে নিজেদের ঘর সাজাতে উদ্যোগী সব রাজনৈতিক দলই। বনগাঁ লোকসভার সাতটি বিধানসভায় মতুয়া ভোট বড় ফ্যাক্টর। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের সাংগঠনিক বৈঠকে তৃণমূল সুপ্রিমোর মুখে শোনা গেল মতুয়া স্তুতি।


    অতীতে ভোটফলের নির্ণায়ক হয়েছেন তাঁরা। সব রাজনৈতিক দল মতুয়া মন পেতে মরিয়া। এদিন বিরোধীদের কটাক্ষ করে মতুয়াদের পক্ষ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ইলেকশনের সময় মতুয়া আর ইলেকশন চলে গেলে ফতুয়া। আমরা এটা করি না। আমরা মতুয়া মাকে শ্রদ্ধা করি।’ এদিনের সভায় সরকারি ছুটি সংক্রান্ত বিতর্কের জবাব দিতে গিয়ে মমতা বলেন, ‘একদিন সবেবরাতের ছুটি ছিল। একদিন পঞ্চানন বর্মার জন্মদিনে ছুটি ছিল। ওরা এসব জানে না। পঞ্চানন বর্মার জন্মদিন ভুলে যাবে আর রাজবংশী ভোট চাইবে। ওরা ভোটের সময় মতুয়াদের মনে রাখে। ভোট ফুরালে মতুয়ারা ওদের কাছে ফতুয়া হয়ে যায়। আমরা ভোট চলে গেলে কাউকে ভুলে যায় না।’


    বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে প্রায় ৩২ শতাংশ মতুয়া ভোটার। মতুয়াদের মন পেতে বিজেপির পক্ষ থেকে নাগরিকত্বের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে বারবার। সেই প্রতিশ্রুতির উপর ভর করে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছিল বিজেপি। একই ইস্যুতে ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে সাতটির মধ্যে ছ’টি বিধানসভায় বিজেপি জয়ী হয়েছিল। ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে ফের বিজেপি জয়ী হয়। দ্বিতীয়বারের জন্য সাংসদ হন মতুয়া সঙ্ঘধিপতি শান্তনু ঠাকুর। তৃণমূলের দাবি, ভোটের আগে বিজেপি মতুয়াদের প্রতিশ্রুতি দিলেও তারা তা পূরণ করেনি। এবিষয়ে তৃণমূল রাজ্যসভার সংসদ তথা মতুয়া সঙ্ঘাধিপতি মমতাবালা ঠাকুর বলেন, ‘বিজেপি মতুয়াদের জন্য কিছুই করেনি। আজও মতুয়ারা নাগরিকত্ব পাননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে মতুয়া বোর্ড গড়ে উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয় গড়েছে তৃণমূল সরকার। হরিচাঁদ ঠাকুরের নামে ছুটি ঘোষণা হয়েছে। বিজেপি শুধু রাজনীতি করে মতুয়াদের নিয়ে।’
  • Link to this news (বর্তমান)