• মৎস্যজীবীদের ব্যবহারের নদীর চর ঘেরার উদ্যোগ প্রশাসনের, চাঞ্চল্য
    বর্তমান | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ: মৎস্যজীবীদের ব্যবহারের নদীর চর ঘিরে দেওয়ার চেষ্টা। বৃহস্পতিবার সকালে এর জেরে শোরগোল পড়ে কুলপির বেলপুকুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাঝেরপাড়া ট্যাংরার চর এলাকায়। জানা গিয়েছে, ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রশাসন হুগলি নদীর ওই চর ঘিরে দেওয়ার কাজ শুরু করেছে। এই ঘটনা জানাজানি হতেই থেকেই স্থানীয় মৎস্যজীবীরা প্রতিবাদ করেন। তাঁরা ৬ ফেব্রুয়ারি কুলপির বিডিওর কাছে একটি দরখাস্ত জমা দেন। পরের দিন দক্ষিণবঙ্গ মৎস্যজীবী ফোরামের পক্ষ থেকে জেলাশাসক ও পোর্ট ট্রাস্টের দপ্তরেও একটি দরখাস্ত দেওয়া হয়। এরপর থেকে বিষয়টি চাপা ছিল। কিন্তু এদিন সকাল থেকে ফের প্রশাসনের কর্মীরা এসে বাঁশ দিয়ে চর ঘেরার কাজ শুরু করেন। তখন মৎস্যজীবী পরিবারের লোকজন গিয়ে বাধা দেন। এই নিয়েই উত্তেজনা দেখা দেয়। 


    এবিষয়ে দক্ষিণবঙ্গ মৎস্যজীবী ফোরামের রাজ্য সহ-সভাপতি তাপসী দোলুই বলেন, এই গ্রামটি মৎস্যজীবী অধ্যুষিত। প্রায় ২০০ পরিবার নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে। দীর্ঘ ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে তাঁরা নদীর এই চরটি ব্যবহার করছেন। এই চরে তাঁরা নৌকা রাখা, জাল বোনার মতো কাজ করেন। কিন্তু হঠাৎ করে সেই জায়গা ঘিরে দেওয়া হচ্ছে। সেক্ষেত্রে মৎস্যজীবীরা সমস্যায় পড়বেন। বিষয়টি বিডিও, জেলাশাসক ও পোর্ট ট্রাস্টকে জানানো হয়েছে।


    মৎস্যজীবীদের দাবি, তাঁদের কাজের জন্য প্রয়োজন মতো চরের জমি ছেড়ে রাখতে হবে। সেই জমি কোনওভাবে ঘেরা যাবে না। কুলপির বিডিও সৌরভ গুপ্তা বলেন, বিষয়টি আমাকে ওঁরা জানিয়েছিলেন। কিন্তু ওখানকার জমি আমাদের দপ্তরের নয়। কাজটিও আমাদের দপ্তর করছে না। তাই ওই বিষয়টিতে আমাদের হস্তক্ষেপ করার কোনও জায়গা নেই।
  • Link to this news (বর্তমান)