সঞ্জয় চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি
দু’দশক ধরে পড়ে রয়েছে শিলিগুড়ির হায়দরপাড়া ও প্রণামী মন্দির রোডের সংযোগস্থলে থাকা চারতলা মার্কেট কমপ্লেক্স। শিলিগুড়ির এক ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে পিপিপি মডেলে ভবনটি তৈরি করেছিল শিলিগুড়ি পুরসভা। আইনের গেরোয় আজ অবধি তা চালু হয়নি।
মার্কেট কমপ্লেক্সটি যখন তৈরি হয় তখন বাম জমানা। মেয়র ছিলেন প্রয়াত বিকাশ ঘোষ। রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ছিলেন অশোক ভট্টাচার্য। জানা গিয়েছে, ওই ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর সঙ্গে পুরসভার বিরোধ শুরু হয় স্টলের ভাগাভাগি নিয়ে। পুরসভা যে অংশের ভাগ চায় সেটা ব্যবসায়ী গোষ্ঠী দিতে রাজি নয়। ফলে দু’পক্ষের বিবাদ গড়ায় আদালত পর্যন্ত। পরে সেই বিবাদের নিষ্পত্তি হলেও সম্প্রতি পুরসভা ফের বাজারটি চালু করার ব্যাপারে উদ্যোগী হতেই ব্যবসায়ী গোষ্ঠী মামলা করে দেন বলে অভিযোগ। ফলে একটি বিশাল মার্কেট কমপ্লেক্সের নীচের কিছু দোকান চালু হলেও পুরো বাজারটি একেবারে নিঝুমপুরী। পরিস্থিতি আরও আতঙ্কজনক হয়ে ওঠে রাত বাড়লে। কমপ্লেক্সটি তখন চলে যায় সমাজ বিরোধীদের দখলে।
শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব বলেন, ‘সবই জানি। আমি চেয়ারে বসেই মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরির ব্যাপারে উদ্যোগী হই। ব্যবসায়ী গোষ্ঠীকে আলোচনায় ডাকি। তাঁরা মামলা করে বসেন। এখন মামলার নিষ্পত্তির জন্য চেষ্টা করছি।’ হায়দরপাড়া ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক বাপি ঘোষ বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে আলোচনা না-করেই লোকবসতিহীন এলাকায় সেই সময়ে মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরি করা হয়। এখন আমরা নিজেদের ব্যবস্থা নিজেরাই করে নিয়েছি। ওখানে যাওয়ার দরকার নেই।’
অশোক ভট্টাচার্য বলেন, ‘পুরসভা একটি ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর সঙ্গে পিপিপি মডেলে মার্কেট কমপ্লেক্সটি তৈরি করে। কী নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয় সেটা আমার বিশদে জানা নেই। তাই মন্তব্য করছি না। তবে মার্কেট কমপ্লেক্সটি তৈরি হলে তো পুরসভার আয় বাড়ত।’ এই ব্যাপারে ওই ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর কর্মকর্তা নিরঞ্জন আগরওয়াল–এর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা হলে তিনি ফোন ধরেননি। মেসেজেরও উত্তর দেননি।