প্রদীপ চক্রবর্তী, শ্রীরামপুর
জলবাহিত জন্ডিসের প্রকোপ বাড়তেই তড়িঘড়ি মাসির বাড়ির সামনে জিটি রোডের উপর ভেঙে যাওয়া পানীয় জলের পাইপ মেরামত করল শ্রীরামপুর পুরসভা। বৃহস্পতিবার শ্রীরামপুর পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের মাহেশ কলোনিতে আন্ডার গ্রাউন্ড পানীয় জলের রিজ়ার্ভার পরিষ্কার করা হয়। জলবাহিত অসুখের মোকাবিলায় শ্রীরামপুর পুরসভা বাড়তি উদ্যোগ নিয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
শ্রীরামপুর পুরসভার মাহেশ কলোনি, গাঙ্গুলি বাগান, রাইল্যান্ড রোডে যে সব চত্বরে জন্ডিস আক্রান্তের খবর মিলেছে, সেই সব এলাকা–জুড়ে মাহেশ কলোনির রিজ়ার্ভার থেকেই পানীয় জলের পরিষেবা দেওয়া হয়। এ ছাড়া গভীর নলকূপগুলিতে ব্লিচিং দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে পুরসভা সূত্রে খবর।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিস্রুত পানীয় জল ঘরে–ঘরে পৌঁছে দিতে রাজ্য সরকারের সহায়তায় শ্রীরামপুর পুরসভা ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে আন্ডার গ্রাউন্ড রিজ়ার্ভার তৈরি করেছে। এখান থেকেই মাহেশ কলোনি, গাঙ্গুলি বাগান, বোসপাড়া, নেহরু নগর কলোনি, খটির বাজার, লক্ষ্মী ঘাট, বৈষ্ণব পাড়ায় পানীয় জলের পরিষেবা দেওয়া হয়। প্রায় ১০ বছর পানীয় জলের রিজ়ার্ভার পরিষ্কার করা হয়নি। জন্ডিসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তেই কেএমডিএ–এর কাছে পানীয় জলের আন্ডার গ্রাউন্ড রিজ়ার্ভার পরিষ্কারের আর্জি জানায় শ্রীরামপুর পুরসভা।
সমস্যার গুরুত্ব বিবেচনা করে কেএমডিএ রিজ়ার্ভার পরিষ্কারের বিষয়ে সবুজ সঙ্কেত দেয়। এ দিন রাত থেকে পানীয় জলের আন্ডার গ্রাউন্ড রিজ়ার্ভার পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়। রাতে কাজ চলার সময়ে পানীয় জল পরিষেবায় যাতে ব্যাঘাত না ঘটে, সে জন্য বিভিন্ন এলাকায় পুরসভা পানীয় জলের গাড়ি পৌঁছে দিয়েছে।
এই রিজ়ার্ভার পরিষ্কারের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ। তাঁদের দাবি, গৃহস্থের বাড়িতে জলের যে রিজ়ার্ভার ট্যাঙ্ক থাকে, সেগুলিও যেন কয়েক মাস অন্তর পরিষ্কার করা হয়। যদি নিয়ম মেনে পানীয় জলের রিজ়ার্ভার পরিষ্কার করা হতো, তা হলে হয়তো জন্ডিস নিয়ে এত দুশ্চিন্তা বাড়ত না।
এ বিষয়ে শ্রীরামপুর পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল(পানীয় জল)–এর সদস্য গৌরমোহন দে বলেন, ‘এটা ঠিক, ১০ বছর পরে ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের পানীয় জলের আন্ডার গ্রাউন্ড রিজ়ার্ভার পরিষ্কার করা হচ্ছে। আসলে এই রিজ়ার্ভার পরিষ্কারের অনেক খরচ। তার ব্যায়ভার একা পুরসভার পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। যে সব এলাকায় জলবাহিত অসুখের প্রকোপের খবর মিলেছে, ওই সব এলাকায় পরিস্রুত পানীয় জল পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি নজর দেওয়া হবে।’