৪৬ নং রুটে বন্ধ থাকল বাস, কী ঝামেলার জেরে রাস্তায় গড়াল না চাকা?
হিন্দুস্তান টাইমস | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
কর্মীদের ঝামেলার জেরে কলকাতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রুটে চলল না বাস। রিপোর্ট অনুযায়ী, ৪৬, ৪৬এ এবং ৪৬বি রুটের ৬৩টি বাসের একটিও চলেনি বুধবার ও বৃহস্পতিবার। এর জেরে হাজার হাজার বাসযাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। উল্লেখ্য, বিমানবন্দর থেকে বাগুইআটি, কেষ্টপুর, চিনারপার্ক এবং কাঁকুরগাছি হয়ে কলেজ স্ট্রিট পর্যন্ত যাওয়া একমাত্র বাসরুট এটি। জানা গিয়েছে, এই রুটের বাসগুলিতে চালক, কন্ডাক্টর, খালাসি মিলিয়ে মোট ২৩০ জন কর্মী কাজ করেন।
এদিকে বুধবার শিবরাত্রি থাকায় ছুটি ছিল অনেকেরই। তাই সেভাবে যাত্রীদের সমস্যায় পড়তে হয়নি। তবে ছুটির পরে ফের কর্মব্যস্ততায় ফেরা মানুষজনকে ভোগান্তি পোহাতে হয় বৃহস্পতিবার। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও বাস না পেয়ে এল-২৩৮ বা ১২সি/২-এর মতো বিকল্প বাস ধরতে হয় যাত্রীদের। এই আবহে অনেককেই 'রাস্তা ভাঙতে' হয়। এক বাস থেকে নেমে অন্য বাস বা অটো ধরে শেষ পর্যন্ত গন্তব্যে পৌঁছতে হয়। অনেককেই আবার বেশই টাকা খরচ করে ট্যাক্সি চাপতে হয়।
রিপোর্ট অনুযায়ী, এই রুটের প্রাক্তন সচিব নাকি অনুগামীদের নিয়ে প্রতিবাদ দেখান। এই আবহে ৪৬ নং রুটের বাস মালিকদের সংগঠন রাজ্যের পরিবহণ দফতরের প্রিন্সিপাল সচিবকে চিঠি লেখেন। তাঁদের দাবি, প্রতিবাদীরা বাসের লভ্যাংশের অপব্যবহার করছে, মাঝাস্তায় বাস থামিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। এই আবহে রুটের বর্তমান সচিব দুর্গাদাস বিশ্বাস জানান, বৃহস্পতিবারও মালিকপক্ষ বৈঠকে বসেন। তাঁরা ধর্মঘট চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁদের দাবি, প্রাক্তন সচিব এবং প্রতিবাদী কর্মীদের স্ট্যান্ড থেকে সরাতে হবে, তাহলেই তাঁরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করবেন। এদিকে সিটি সাবআরবান বাস সার্ভিসের কর্তা বলেন, 'এভাবে দুই পক্ষের সংঘাতের কারণে সাধারণ মানুষকে সমস্যায় ফেলা যায় না। আমরা চাই যাতে সমস্যা দ্রুত মিটে যাক। নয়ত এই রুটের যাত্রীদের চিরতরে হারিয়ে ফেলতে পারি আমরা।'
এদিকে কোভিড অতিমারীর পর থেকে এমনিতেই ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেসরকারি বাস পরিবহণ ব্যবসা। লাগাতার ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি, তার ওপর গত চার বছর ধরে ভাড়া বৃদ্ধি না হওয়ার কারণে রাস্তায় বেসরকারি বাসের সংখ্যা অনেক কমে গিয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়া অন্যান্য জনপ্রিয় রুটের মধ্যে রয়েছে ৪৩/১, ২৪১ এ, ২১৩/১, ২১৮/১, ১৮এ/১, ২০৬ এবং ২০৪/১। ৩সি/২ বা ৩ডি/১–এর মতো উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতার সংযোগকারী গুরুত্বপূর্ণ বাস রুটগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর পাশাপাশি অনেক রুটের বাসের পথ কমেছে। সেগুলি হল ৪৭/১, ২৩৫ এবং ২৫২। দক্ষিণ ২৪ পরগণার বেশ কয়েকটি রুট - যেমন ফলতা থেকে ৮৩, শিরাকোল থেকে এসডি ১৬ এবং বিবিরহাট থেকে এসডি ৮ বাসগুলি দিনে এক থেকে ২টি ট্রিপে পরিষেবা দিচ্ছে।