টানা তিনদিন ধরে বন্ধ ৪৬, ৪৬ এ এবং ৪৬ বি রুটের সব বাস। চরম ভোগান্তি যাত্রীদের। এই রুটে ৬৩টি বাস প্রতিদিন যাতায়াত করে। বাসগুলি এয়ারপোর্ট, বাগুইআটি, কেষ্টপুর, চিনারপার্ক, কাঁকুড়গাছি, কলেজ স্ট্রিট হয়ে যাতায়াত করে। এই রুটে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। ফলে বাসগুলি বন্ধ থাকায় কর্মব্যস্ত দিনে গন্তব্যে পৌঁছতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে তাঁদের।
কেন বন্ধ এই রুটের বাসগুলি?
এই রুটের বাস মালিকদের দাবি, অনেকদিন ধরেই হীরালাল খেওড় নামে এক শ্রমিক নেতার বিরুদ্ধে লড়ছিলেন তাঁরা এবং কর্মীরা। হীরালাল কর্মীদের বোনাসের টাকা তছরুপ করেছেন বলেও অভিযোগ তাঁদের। এ বার বাস মালিক এবং কর্মীরা একজোট হয়ে হীরালাল-এর ‘দাদাগিরি’ ঠেকানোর জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণের দাবিতে রুটের বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে।
এ প্রসঙ্গে ‘জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেট’-এর সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বহু বাস মালিক লোন নিয়ে বাস কিনেছেন। তাঁদের নিয়মিত ইএমআই দিতে হয়। কিন্তু বাসের নিয়ন্ত্রণ চলে যাচ্ছে কিছু শ্রমিক নেতার হাতে। অনেক সময় দেখা যাচ্ছে, তাঁরা নিজেরাই বিভিন্ন দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। ফলে একদিকে বাসকর্মীদের চাপ দিয়ে তাঁদের প্রাপ্য সুযোগ সুবিধা আত্মসাৎ করছেন। অন্যদিকে তাঁদের জন্য বাসমালিকদের ব্যবসারও ক্ষতি হচ্ছে।’
যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হীরালাল। বাস মালিকদের একাংশের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই ওই শ্রমিক নেতার বিরুদ্ধে লড়াই করছেন বাসমালিক এবং কর্মীরা। এ বার সকলে একজোট হয়ে এই অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
কী বললেন পরিবহণ মন্ত্রী?
স্বাভাবিক ভাবেই সাধারণ মানুষের প্রশ্ন, কবে স্বাভাবিক হবে পরিষেবা? রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘পুলিশ প্রশাসনকে বাস পরিষেবা স্বাভাবিক করার কথা বলা হয়েছে। যে বা যারা বাধা দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক পদক্ষেপ করা হবে।'