• ‘মাটি কাটার গাড়ি কোথায়? প্রয়োজনে CRPF নামাব’, হাইকোর্টে ভর্ৎসনার মুখে পুলিশ
    এই সময় | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ‘আর্থ মুভার’ বাজেয়াপ্ত করতে না পারায় কলকাতা হাইকোর্টে তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পুলিশ। ৭ দিনের মধ্যে আদালতের নির্দেশ কার্যকর না হলে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে সেই দায়িত্ব দেওয়া হবে, জানিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।

    ব্যাঙ্ক থেকে টাকা ধার নিয়ে জেসিবি সংস্থার একটি ‘আর্থ মুভার’ (মাটি কাটার গাড়ি) কিনেছিলেন রামপুরহাট থানা এলাকার এক বাসিন্দা। কিন্তু, সেই ঋণের কিস্তি শোধ করেননি তিনি। এরপর ওই আর্থ মুভার বাজেয়াপ্ত করতে গিয়ে ধাক্কা খেতে হয় ব্যাঙ্ক কর্মীদের। সেই গাড়িটিরও কোনও হদিশ মেলেনি। অগত্যা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।

    ২০২৩ সালে এই মামলার প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের একক বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, ওই গাড়ি বাজেয়াপ্ত করতে হবে পুলিশকে। কিন্তু এখনও সেই নির্দেশ কার্যকর না হওয়ায় শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টে ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় পুলিশকে।

    এ দিন মামলাটি ওঠে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘ওই আর্থ মুভার কোথায়? হয় ডিভিশন বেঞ্চে গিয়ে এই অর্ডার খারিজ করান। না হলে আগের নির্দেশ কার্যকর করুন। ওই গাড়ি বাজেয়াপ্ত করুন।’ মামলাটি চলাকালীন পুলিশের ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে আদালত। বিচারপতি বলেন, ‘রানিগঞ্জ থানা ব্যর্থ হয়েছে। রামপুরহাট থেকে কেন অভিযুক্তকে ধরা যাচ্ছে না? কে এই প্রভাবশালী? কত বড় শক্তিমান তিনি? ওই গাড়ি কোথায়? হাইকোর্টের নির্দেশ মানতে হবে। কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দায়িত্ব দিয়ে দেব।’

    ওই যন্ত্র বাজেয়াপ্ত করার জন্য ৭ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছেন বিচারপতি। ১০ মার্চের মধ্যে এই নির্দেশ কার্যকর না হলে সিআরপিএফ নিযুক্ত করা হবে হাইকোর্টের নির্দেশের বাস্তবায়নের জন্য, জানায় আদালত।

  • Link to this news (এই সময়)