অকাল বৃষ্টির জেরে চরম সমস্যায় জেলার আলু চাষিরা। তার উপর দোসর হয়েছে আলুর দাম। এই দুয়ের চাপে নাজেহাল এ রাজ্যের চাষিরা। এ বারে কুইন্ট্যাল পিছু ১৩০০ টাকা সহায়ক মূল্যে চাষিদের থেকে আলু কেনার দাবিতে শুক্রবার বাঁকুড়ার পুয়াবাগানে ৬০ নং জাতীয় সড়ক অবরোধ করলেন প্রাদেশিক কৃষক সভার সদস্যরা।
প্রায় আধ ঘন্টা ধরে চলা এই অবরোধের জেরে বাঁকুড়া-পুরুলিয়া ৬০নং জাতীয় সড়কে ব্যাহত হয় যান চলাচল। কয়েক কিলোমিটার লম্বা যানবাহন সার দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। অবশেষে পুলিশের আশ্বাসে ওঠে অবরোধ।
আলু চাষিদের অভিযোগ, চলতি বছরে আলুর উৎপাদন ভালো হয়নি। তবে আলু ওঠার মরশুমে দর না থাকায় ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদের। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আলু চাষের খরচটুকুও পাচ্ছেন না চাষিরা।
অথচ, প্রতি বছর বেশিরভাগ সময়ে ৩০ থেকে ৪০ টাকা প্রতি কিলো দরে আলু কিনছেন সাধারণ মানুষ। এই পরিস্থিতিতে আলু চাষি ও সাধারণ মানুষকে রেহাই দিতে দীর্ঘদিন ধরেই ১৩০০ টাকা প্রতি কুইন্ট্যাল কিলো দরে সহায়ক মূল্যে আলু কেনার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছে বিভিন্ন কৃষক সংগঠন।
একই সঙ্গে রাজ্যের প্রতিটি কৃষক বাজারে সহায়ক মূল্যে ধান কেনা ও ক্রমবর্ধমান চালের দর কমানোর দাবিও জানানো হচ্ছিল। এ বার সেই দাবি সামনে রেখে আন্দোলনে নামল প্রাদেশিক কৃষক সভা। বাঁকুড়ার পুয়াবাগান ছাড়াও জেলার জয়পুর ব্লকের চাতরা মোড়, হীড়বাঁধ ব্লকের হাতিরামপুর মোড় ও গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের দুর্লভপুর মোড়েও একই দাবিতে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় প্রাদেশিক কৃষক সভা।