• ডাকঘরে পিয়ন মাত্র পাঁচ, চরম সমস্যায় তমলুকবাসী
    এই সময় | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • এই সময়, তমলুক: মাস কয়েক আগে অনলাইনে ভোটার কার্ড আপডেট করেছিলেন তমলুকের ডহরপুর এলাকার বাসিন্দা শুভশ্রী বেরা। দীর্ঘদিন বাড়িতে কার্ড এসে না পৌঁছনোয় খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তাঁর ভোটার কার্ড রয়েছে পোস্ট অফিসে।

    ওই মহিলা এলে পোস্ট অফিস কর্তৃপক্ষ জানান, লোকের অভাবে তাঁর ভোটার কার্ডটি বাড়ি পৌঁছয়নি। শুধু শুভশ্রী নন, তমলুকের পোস্ট অফিসে লোক কম থাকায় বিভিন্ন সমস্যায় পড়ছেন এলাকার বাসিন্দারা। এই নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে তমলুক পুরসভার বাসিন্দাদের।

    পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক শহরে ২০টি ওয়ার্ড রয়েছে। যার মধ্যে ব্যাঙ্ক, মেডিক্যাল কলেজ, স্কুল–সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর আছে। তমলুকের এই পোস্ট অফিসে ৬ জন পিয়ন ছিলেন। চিঠি আদান–প্রদানের পাশাপাশি রেজিস্ট্রি চিঠি ও যে কোনও ধরনের পার্সেল পৌঁছনোর কাজ করতেন তাঁরা। ২০টি ওয়ার্ডের জন্য ছয় জন পিওন, যা প্রথম থেকেই কম।

    এর মধ্যে আবার এক জনকে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে। ফলে এখন পিয়নের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫। পোস্ট অফিস সূত্রের খবর, চিঠি আদান–প্রদানের বিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক পোস্টাল ডিভিশনে মোট ৩৮৭ জন রয়েছেন। যাঁদের মধ্যে পিয়ন তো ছিলেনই, আবার গ্রামীণ ডাকেও অনেকে কাজ করেন।

    শহরের প্রাণকেন্দ্র পার্বতীপুর, পদুমবসান, ডহরপুর–সহ বিস্তীর্ণ এলাকা তমলুক পোস্ট অফিসের উপর নির্ভর করেন। এই পোস্ট অফিসের পরিস্থিতি এমন হওয়ায় অনেকেই এসে ফিরে যাচ্ছেন। দিনের দিন কাজ হচ্ছে না বলে অভিযোগ গ্রাহকদের। ফলে দু’বার–তিন বার পোস্ট অফিসে আসতে হচ্ছে। এতে ক্ষোভ বাড়ছে মানুষের মধ্যে। কম লোকে সামাল দিতে পারছে না পোস্ট অফিস। ফলে সমস্যায় পড়েছেন এই পোস্ট অফিসের গ্রাহকেরাও।

    গ্রাহকদের দাবি, লোক নেই দেখে বাড়িতে কোনও চিঠি আসছে না। অনেক সময়ে বাড়িতে ফোন করে পোস্ট অফিস থেকে ডেকে পাঠানো হচ্ছে। গ্রাহকদের গিয়ে চিঠি আনতে হয়।

    এ নিয়ে পোস্ট মাস্টার অমিয় দাস বলেন, ‘খুব শীঘ্র দপ্তরে তিন জন কর্মী নিয়োগ করা হবে। তা হলে সমস্যার সমাধান হবে।’ তমলুকের পোস্ট অফিসের এক আধিকারিক অসিতকুমার মোহান্তি বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত এরকম কোনও অভিযোগ পাইনি। তবুও বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।’

  • Link to this news (এই সময়)