• ‘ওর রোজ মদ আর সিগারেট লাগত’, শাশুড়ির গোড়ালি কেটে নেওয়ার অভিযোগ, বৌমাকে নিয়ে মুখ খুললেন শ্বশুর
    এই সময় | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • সৌমেন রায় চৌধুরী

    ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইট থেকে খোঁজ পেয়েছিলেন ফাল্গুনী ঘোষের। তাঁকেই ঘরের বৌমা করে এনেছিলেন। কিন্তু সেই মেয়েই যে পিসিশাশুড়িকে খুন করে গোড়ালি কেটে গঙ্গা ফেলার ছক কষবে, তা কল্পনাতেও আনেননি শ্বশুর সুবল ঘোষ। বৌমার কীর্তিতে কেঁপে উঠেছেন তিনি। কাঁপা গলায় তিনি বলেন, ‘নিজের হাতে ছেলের জীবনটা নষ্ট করেছি। আমিই ওকে বাড়ির বৌ করে এনেছিলাম। এটাই জীবনের সবথেকে বড় ভুল।’

    পিসি শাশুড়ি সুমিতা ঘোষকে খুন করে দেহ ট্রলি ব্যাগে ভরে কুমোরটুলি ঘাটে ফেলতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছে ফাল্গুনী ঘোষ। ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার হয়েছে ফাল্গুনী এবং তাঁর মা আরতি। ঘটনার নৃশংসতায় কেঁপে উঠছেন অনেকেই। ডিভোর্সি পিসিশাশুড়ি সুমিতাকে খুনের পর দেহ ট্রলিতে না ধরায় বঁটি দিয়ে গোড়ালি কেটে নেয় ফাল্গুনী, অনুমান তদন্তকারীদের। মা-মেয়ের কীর্তিতে চমকে উঠছেন দুঁদে পুলিশ কর্মীরাও।

    ফাল্গুনীকে পরিবারের সদস্য করার জন্য আক্ষেপ করছেন তাঁর শ্বশুর সুবল। তিনি জানান, একটি ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইটে তিনি প্রথমবার ফাল্গুনীকে দেখেছিলেন। সেই সময়ে দমদমে ভাড়া বাড়িতে মায়ের সঙ্গে থাকতেন ফাল্গুনী। তাঁর বাবা ছিলেন বেসরকারি সংস্থার কর্মী। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর আগেই মৃত্যু হয়েছিল। কুমোরটুলি এলাকাতেও অতীতে ভাড়ায় থাকতেন ফাল্গুনীরা।

    দেখাশোনা করেই ছেলে শুভঙ্করের জন্য ফাল্গুনীকে বেছে নিয়েছিলেন সুবল। শুক্রবার তিনি আক্ষেপের সুরে বলেন, ‘বিয়ের পর জানতে পারি ও উচ্চ মাধ্যমিকও পাশ করতে পারেনি। মাঝে মধ্যেই ও কলকাতায় যাওয়ার জন্য জেদ করত। ২০২২ সালে পাকাপাকি ভাবে ও কলকাতায় চলে যায়।’ তারপর থেকেই ছেলে শুভঙ্করের সঙ্গে আলাদা থাকতে শুরু করেছিলেন ফাল্গুনী, জানান সুবল।

    তিনি আরও বলেন, ‘ওর প্রতিদিন মদ ও সিগারেট লাগত। প্রথমে আমার ছেলে স্ত্রীর বিষয়ে এই কথাগুলো লুকিয়ে যেত। কিন্তু ধীরে ধীরে ফাল্গুনীর ব্যবহারেই সব প্রকাশ হতে শুরু করে।’ ছেলের সঙ্গে এখনও আইনি ভাবে ফাল্গুনীর বিচ্ছেদ না হলেও যোগাযোগ প্রায় ছিল না বলেই দাবি করেছেন সুবল। টাকা এবং সম্পত্তি হাতানোর জন্যই বোনকে খুন করেছে ফাল্গুনী, দাবি সুবলের।

  • Link to this news (এই সময়)