• আগের মতো লাভ নেই, ধুঁকছে ঘূর্ণি মোড়ের পুতুল শিল্পীরা
    এই সময় | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • নদিয়ার কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণির মোড় শিবতলা এলাকাপরিচিত পুতুল পট্টি নামেই পরিচিত। সেখানে দেড়শ পরিবারের বাস। এই সব পরিবারের লোকজন সদাব্যস্ত বিভিন্ন ধরনের মাটির পুতুল তৈরিতে। কেউ তৈরি করছেন ময়ূর, কেউ ডলফিন, কেউ বাঁদর, আবার কেউ নানা ধরনের পাখি তৈরিতে ব্যস্ত। তাঁদের উপার্জনের একমাত্র রাস্তা পুতুল তৈরি।

    মৃৎশিল্পীর সঙ্গে যুক্ত পরিবারগুলি দিনে ৫ থেকে ৬ ঘন্টা পুতুল তৈরির কাজ করে রোজগার করেন। তাঁদের হাতের তৈরি পুতুল পাড়ি দেয় হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরু, কর্নাটক-সহ বিভিন্ন জায়গায়। বছরের তিনটি মাস কাজের ভাটা থাকলেও বাকি মাস গুলিতে অর্ডারের চাহিদা বেশি থাকে।

    মৃৎশিল্পীরা জানান, বর্তমানে নতুন করে এই শিল্পের সঙ্গে আর কেউ যুক্ত হচ্ছেন না। কারণ হিসাবে তাঁরা জানিয়েছেন, পুতুলের সাজসজ্জা ও আনুষাঙ্গিক জিনিসের দাম এখন আকাশছোঁয়া। মাটির পুতুল তৈরি করে আগের মতো লাভও হয় না। অল্প লাভেই এই শিল্পের সাথে যুক্ত রয়েছে কৃষ্ণনগরের গোটা কয়েক এই পরিবার।

    কুটির শিল্পের কারিগরদের হাতে তৈরি এই পুতুলের সম্ভার মেলে নদিয়ার কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণির মোড়ের বিভিন্ন দোকানে। সেখানে পাবেন বিভিন্ন ধরনের পটচিত্র, রংবেরঙের পুতুল, ঘরে সাজিয়ে রাখার আকর্ষণীয় বিভিন্ন ধরনের মাটির মূর্তি।

    কৃষ্ণনগর ঘূর্ণির মোড়ের নাম এখনও ছড়িয়ে রয়েছে দেশ-বিদেশে। বিদেশি পর্যটকরা আজও ছুটে আসে এই ঘূর্ণির মোড়ে।

    ঘূর্ণির মোড়ের পুতুল ব্যবসায়ীরা জানান, কৃষ্ণনগরের মাটির পুতুল পৃথিবী বিখ্যাত। যতদিন কৃষ্ণনগর থাকবে ততদিন এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করবেন তাঁরা।

  • Link to this news (এই সময়)