বিধান সরকার: ইভটিজিং তার চোখে পরেনি, সাদা গাড়ির চালক তাদের দিকে তাকিয়ে ছিল, সুতন্দ্রার কথাতেই বাবলু যাদবের গাড়িকে ধাওয়া করছিল গাড়ি চালক রাজদেও শর্মা। ১০০ কিমি গতিবেগে ছুটছিল গাড়ি। নিয়ন্ত্রণ করতে না পারাতেই দূর্ঘটনা। স্বীকারক্তি রাজদেও শর্মার। সাদা গাড়ি তাদের ধাক্কা মেরেছিল। তখনই সুতন্দ্রা সেই গাড়িকে ধরতে বলে। রাজদেও বার বার চেষ্টা করে এগিয়ে গিয়ে সেই গাড়ি থামাতে। কিন্তু পারেনি।
পরে জাতীয় সড়ক ছেড়ে লোকাল রোডে নেমে পরে সাদা গাড়ি। তার পিছনে সজোরে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। সুতন্দ্রার মা তার মেয়ের মৃত্যুতে দুই গাড়ির সবাইকে দায়ী করেন। সবাইকে সন্দেহ করেন। রাজদেও জানান, এই দূর্ঘটনার জন্য তারও খারাপ লাগছে। পানাগড়কাণ্ডে সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের গাড়ি দুর্ঘটনার পরই পালিয়ে গিয়েছিলেন অন্য সাদা গাড়িতে থাকা যাত্রীরা।
এর আগে এই ঘটনায় ইভটিজিংয়ের অভিযোগ উঠলেও তা উড়িয়ে দিয়েছিল পুলিস। সিসিটিভি ফুটেজ দেখিয়ে পুলিসের দাবি ছিল, নিহত তরুণীর গাড়িই অন্য গাড়িতে তাড়া করেছিল। এদিন অবশ্য সুতন্দ্রার গাড়ির ড্রাইভারই একই দিকে ইঙ্গিত করে। দুর্ঘটনার দিন রাতে সুতন্দ্রার আরও তিন সঙ্গীকে ডেকে পাঠায় কাঁকসা থানার পুলিস। সবাই যে যার গাড়ি করে থানায় গিয়ে হাজির হয়। পরবর্তীতে দুজনকে পুলিসের গাড়ি করে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের হয়তো ঘটনার পুর্ননির্মাণের জন্য নিয়ে যাওয়া হতে পারে। তবে এই বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক তথ্য পাওয়া যায়নি।
অবশেষে পুলিসের জালে পানাগড়কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত বাবলু যাদব। সূত্রের খবর, ২দিন পর আটক করা বাবলু যাদবকে। ঘটনার পর হন্যে হয়ে পুলিস খুঁজছিল তাকে। সূত্রের খবর, অবশেষে বর্ধমান থেকে তাকে আটক করা হয়। ঘটনার দিন এই বাবলু গাড়ির স্টিয়ারিংয়ে বসেছিলেন। বাবলু যাদবের সঙ্গে আরও চারজন সঙ্গী ছিল। তাদের মধ্যে একজন ঘটনার প্রথম দিনই আটক করা হয়। যেহেতু সে গাড়ির পিছনে বসেছিল, সেহেতু তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।