‘সময় নেই’, দেখা করার আবেদন প্রত্যাখ্যান রাষ্ট্রপতির, জবাবি ইমেলে ক্ষুব্ধ অভয়ার পরিবার
প্রতিদিন | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
অর্ণব দাস, বারাকপুর: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে ইমেল করেছিলেন। কিন্তু জবাবে জানানো হয়েছে ‘সময় নেই’। শুক্রবার দিল্লি থেকে ফিরে একথা জানিয়ে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন আর জি করের নির্যাতিতার বাবা। বললেন, “দেশবাসী তথা বিশ্ববাসীকে বলব, দেখুন কোন পরিস্থিতির মধ্যে আমরা এই দেশে বসবাস করছি। যেখানে রাষ্ট্রপতির নিজে থেকে এগিয়ে আসা উচিত ছিল, সেখানে উনি বলছেন সময় নেই!”
এর আগে মেয়ের সুবিচারের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে অভয়ার পরিবার লিখিত আবেদন জানিয়েছিল। কিন্তু কারও তরফেই উত্তর মেলেনি। সদিচ্ছার অভাবেই বৃহস্পতিবার দিল্লি গেলেও প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কারও সঙ্গেই দেখা করতে চান না বলে স্পষ্টই জানিয়েছিলেন নিহত তরুণী চিকিৎসকের পরিবার। ফিরে এসে রাষ্ট্রপতির দপ্তর থেকে পাওয়া ইমেলের প্রসঙ্গ তুলে নিহত চিকিৎসকের বাবা বলেন, “সাক্ষাৎ করার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে সময় চেয়ে ইমেল করেছিলাম। উত্তরে বুধবার জানানো হয়েছে সময় নেই। আমি ভারতের একজন নাগরিক, কিন্তু উনি সেটা মনে করেননি। প্রচণ্ড খারাপ লেগেছে।”
বৃহস্পতিবার সিবিআইয়ের ডিরেক্টরের সঙ্গে দেখা করেছেন অভয়ার মা-বাবা। ডিরেক্টর তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে ধৈর্য ধরার কথা বলেছেন। আশ্বাস দিয়েছেন, সুবিচার মিলবেই। সিবিআই দপ্তর থেকে বেরিয়ে বৃহ্স্পতিবার এসব কথা জানালেও সিবিআইয়ের উপর খুব একটা ভরসা যে তাঁদের নেই, তা বোঝা গিয়েছিল অভয়ার বাবার কথায়। তাঁর বক্তব্য, “সিবিআই ডিরেক্টরকে বোঝানো হয়েছে, সঞ্জয় একাই দোষী। এটা বুঝেই উনি আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন।”
প্রায় ঘন্টাখানেক সময় দিয়েছিলেন সিবিআইয়ের ডিরেক্টর। এই সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে নির্যাতিতার বাবা জানিয়েছেন, “শিয়ালদহ আদালতের রায়ের কপিতে সিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে যে কথা লেখা হয়েছে, সেই গাফিলতি ওঁর কাছে তুলে ধরেছি। উনি ধৈর্য ধরতে বলেছেন। আগামী ১৭ তারিখ (১৭ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানিতে আমরা চেষ্টা করব, যাতে হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে মামলাটি চলে আসে। সিবিআইয়ের আইনজীবী বাধা দিচ্ছে বলেই মামলা আনা যাচ্ছে না। ডিরেক্টরকে একথাও বলেছি।” সুপ্রিম কোর্টে নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী করুণা নন্দীর সঙ্গেও হাই কোর্টে মামলা ফেরত আনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।