অর্ণব দাস, বারাকপুর: কাজ করতে করতে অতর্কিতে অ্যাসিড হামলার শিকার হলেন খড়দহের এক গৃহবধূ। তাঁর মাথায়, মুখে প্রতিবেশী এক যুবক আচমকাই অ্যাসিড ঢেলে দিয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনার অভিযোগ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে রহড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। অ্যাসিড আক্রান্ত মহিলাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বারাকপুর বিএন বসু মহকুমা হাসপাতালে। তাঁর মাথার চুল ও মুখের বেশ খানিকটা অংশ পুড়ে গিয়েছে বলে জানান চিকিৎসকরা। তাঁর অবস্থা আপাতত সংকটজনক।
শুক্রবার দুপুরে খড়দহ পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের এলপি কলোনিতে ঘটেছে অ্যাসিড হামলার ঘটনাটি। স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, তারক দাস নামে একজনের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন আক্রান্ত গৃহবধূ ও অভিযুক্ত উভয়েই। গৃহবধূ স্বামী ও সন্তানকে নিয়ে বাড়ির একটি ঘরে ভাড়া থাকেন। পাশের ঘরের ভাড়াটে অভিযুক্ত সুজিত কুমার দেবনাথ। অভিযোগ, এদিন দুপুরে আক্রান্ত গৃহবধূ বাড়ির উঠোনে কাজ করছিলেন। সেই সময় আচমকাই পাশের ঘরের ভাড়াটিয়া সুজিত দেবনাথ ওই গৃহবধূর পিছন থেকে মাথায় ও মুখে অ্যাসিড ঢেলে দেয়। অ্যাসিড হামলায় গৃহবধূর মুখ ও মাথার অংশ পুড়ে যায়। তিনি চিৎকার করে উঠলে আশপাশের ঘর থেকে সকলে বেরিয়ে আসেন। এমন কাণ্ড দেখে শিউরে ওঠেন তাঁরা।
তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় স্থানীয় কাউন্সিলর চিন্ময়কুমার দাসকে। তাঁর তৎপরতায় ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বারাকপুর বি এন বসু মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কাউন্সিলরই খবর দেন রহড়া থানায়। পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে সেখানে গিয়ে সুজিতকে গ্রেপ্তার করে। ঘটনায় আক্রান্ত গৃহবধূর স্বামী রহড়া থানায় সুজিতের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে কেন এমন ঘটনা ঘটল, সে সম্পর্কে অন্ধকারে পরিবার ও প্রতিবেশীরা। সুজিত ও ওই গৃহবধূর মধ্যে পুরনো কোনও সম্পর্ক বা শত্রুতা ছিল কি না, তাও কেউ জানেন না। তবে লোকনাথ চন্দ্র নামে এক প্রতিবেশীর দাবি, অভিযুক্ত ছেলেটি ভালো নয়, গাঁজার নেশা করে। হয়ত নেশার ঘোরেই অ্যাসিড ছুড়ে মেরেছে। আক্রান্ত মহিলার স্বামী অশোক দাস জানান, ”আমি বাড়িতে ছিলাম না, কাজে গিয়েছিলাম। ভাইপো ফোন করে জানাল এরকম ঘটনা ঘটেছে। বুঝলাম না কেন এই ঘটনা ঘটল। ওদের সঙ্গে আমাদের কখনও কোনও ঝগড়া ছিল না।”