নিয়োগ-জট অব্যাহত আদালতে, কুণাল ঘোষের নেতৃত্বে ধর্মতলায় ধরনায় SLST চাকরিপ্রার্থীরা
প্রতিদিন | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘ আন্দোলনের পরও নিয়োগ-জট এখনও অব্যাহত। মামলার ফাঁসে আটকে চাকরি পাওয়া। এসব অভিযোগ তুলে ফের রাজপথে মিছিলে ২০১৬ সালের কর্মশিক্ষা, শারীরশিক্ষার চাকরিপ্রার্থীরা। শুক্রবার বিকেলে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের নেতৃত্বে ফের ধর্মতলায় ধরনায় বসলেন তাঁরা। অভিযোগ একটাই, মামলা দীর্ঘায়িত হচ্ছে, বিলম্বিত হচ্ছে তাঁদের নিয়োগ। এনিয়ে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ দাবি করছেন চাকরিপ্রার্থীরা। আর তাঁদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে মিছিলে হেঁটে ধরনায় বসলেন কুণাল ঘোষ।
শুক্রবার দুপুরে হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে ২০০৯ সালের বেশ কয়েকজন ‘যোগ্য’ প্রার্থীকে নিয়োগপত্র দিয়েছে জেলা শিক্ষা সংসদ। এরপরই বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এতদিন ধরে চাকরির দাবিতে আন্দোলনরত প্রার্থীরা। বিকালে তাঁরা কুণাল ঘোষের দ্বারস্থ হয়ে নিজেদের সমস্যার কথা বলেন। অভিযোগ করেন, আদালতের রায়ে একদল চাকরি পেল কিন্তু তাঁরা এখনও বঞ্চিত। এতদিন ধরে এত আন্দোলনের পরও আদালতে তাঁদের কথা শোনা হচ্ছে না। সুরাহা করতে আগ্রহ দেখানো হচ্ছে না। এই বঞ্চনার কথা বলতে বলতে তাঁদের চোখে জল দেখে আর স্থির থাকতে পারেননি কুণাল ঘোষ। তিনি গোড়া থেকেই এই আন্দোলনকারীদের নানা সময়ে নানা পরামর্শ দিয়েছেন। ফলে এবারও তাঁদের হয়ে কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়েন।
SLST চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ শুনে দ্রুতই তাঁদের নিয়ে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করেন কুণাল ঘোষ। সেখানে ধরনা দেবেন বলেও জানান। তাঁর কথায়, ”এতদিন ধরে নিয়োগ মামলা আটকে রয়েছে আদালতে। বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যর মতো কয়েকজন আইনজীবীর কারণে এত জটিলতা। তাঁরা বারবার মামলা করে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করে দিচ্ছেন। অথচ রাজ্য সরকার বারবার বলছে, শূন্যপদে নিয়োগে আগ্রহী। এতদিন ধরে ছেলেমেয়েরা পথে বসে আন্দোলন করছে, এখনও তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া এগোল না। ওঁরা এতটাই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত, তা দেখে আমি সরে আসতে পারিনি। ওঁদের পাশে আছি। এ বিষয়ে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ দাবি করছি।”
বিকেলে ধর্মতলায় ধরনায় বসতে গেলে পুলিশের সঙ্গে কুণাল ঘোষের সামান্য বাকবিতণ্ডা হয়। তাঁর সঙ্গে থাকা মহিলা আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দেয় পুলিশ। তা সত্ত্বেও জোর করে রাস্তায় বসে পড়েন তাঁরা। ধর্মতলায় ওই রাস্তা ঘিরে দেওয়া হয়েছে ব্যারিকেড দিয়ে।