• শিরা কাটল কে? পায়েস রান্না করেছিল কে? কী বলছেন ট্যাংরার ছোট ভাই!
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • ট্যাংরাকাণ্ডে একেবারে পরতে পরতে রহস্য। তবে ধাপে ধাপে সেই রহস্যের পর্দা ধীরে ধীরে উঠছে। একের পর এক স্বীকারোক্তি সামনে আসছে। তা কার্যত চমকে দেওয়ার মতো বিষয়। সেসব একেবারে বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি। গত কয়েকদিন ধরেই ইঙ্গিত মিলছিল যে এই খুনের ঘটনার পেছনে রয়েছে ছোট ভাইয়ের হাত। 

    দে পরিবারের ছোট ছেলে প্রসূণ দে এই খুনের কথা স্বীকার করেছেন বলে খবর। তবে স্ত্রী ও বৌদিকে খুনের কথা স্বীকার করেছেন তিনি। কিন্তু নাবালিকাকে খুনের বিষয়টি নিয়ে এখনও কিছুটা ধন্ধ রয়েছে। 

    ওই ছোটভাই কার্যত স্বীকার করেছে যে আগে স্ত্রী রোমি দের হাতের শিরা কেটে দিয়েছিল প্রসূণ। তারপর বৌদি সুদেষ্ণা দের হাতের শিরা কাটে। এমনকী রোমি প্রথমে নিজের বাঁ হাতের শিরা কাটতে গিয়ে ব্যর্থ হয়। তারপরই প্রসূণ বাকি কাজটা করে দেয় বলে অভিযোগ। এমনকী এই হাড়হিম করা ঘটনা যখন হচ্ছে তখন তাদের মুখে বালিশ চাপা দেওয়া হয়। যাতে তাদের চিৎকার কোনওভাবে বাইরে না বের হয়। যাতে লোক জানাজানি না হয়। 

    তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, রোমি প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেছিলেন। তবে কি তার জেরেই তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন? 

    তবে এই হাড়হিম ঘটনার কথা যত সামনে আসছে ততই অনেকেই হতবাক হয়ে যাচ্ছেন। 

    প্রসূণ কার্যত স্বীকার করে নিয়েছে যে এই খুনের ঘটনা সেই ঘটিয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে যে পায়েস রান্না করেছিল বড় ভাই। কিন্তু নাবালিকাকে কে মেরেছে সেটা এখনও পরিস্কার নয়। 

    এদিকে এর আগে ট্যাংরার ওই পরিবারের কিশোরের স্বীকারোক্তি ছিল যে মা কাকিমা ও বোনকে খুন করেছে কাকা। এমনকী ঘুমের ওষুধ মেশানো পায়েস খাওয়ানোর পরে বেঁচে গিয়েছিল ওই বাড়ির কিশোর। এরপর কাকা প্রসূণ বালিশ চাপা দিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু যোগ ব্যায়াম করার জন্য বেঁচে যায় সে। রাজ্যের শিশু অধিকার রক্ষা কমিশনকে এমনটাই বয়ান দিয়েছিল ট্যাংরাকাণ্ডের জখম কিশোর। কার্যত মরার ভান করে পড়েছিল কিশোর। কিন্তু আসলে সে মরেনি। সে বেঁচে ছিল। পরে কাকা ও বাবার সঙ্গে গাড়িতে উঠেছিল সে। সেই গাড়ি ধাক্কা দিয়েছিল অভিষিক্তা মোড়ের কাছে মেট্রোর পিলারে। সেখানেই জখম হয়েছিলেন তিনজন। এরপরই সামনে আসছে একের পর এক বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি। 
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)