রত্নার আর্জি খারিজ করল হাইকোর্ট, কল্যাণের কাছে ক্ষমা চেয়েও মিটল না ঝামেলা!
হিন্দুস্তান টাইমস | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
কলকাতা হাইকোর্টে একের পর এক ঘটনায় হতাশ হতে হল শোভন চট্টোপাধ্য়ায়ের স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়কে। একদিকে, তাঁর করা আবেদন খারিজ করে দিল উচ্চ আদালত। তার উপর, নিজের মন্তব্যের জন্য শোভন চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ক্ষমাও চাইতে হল রত্নাকে।
কিন্তু, রত্না চট্টোপাধ্যায় এই বিষয়ে ক্ষমা চাইলেও তা নিয়েও নতুন করে নিজের অসন্তোষের কথা জানালেন কল্যাণ। যার জেরে আদালত রত্নাকে সাফ জানিয়ে দিল, তাঁকে বাড়তি সময় দেওয়া হচ্ছে। তিনি যেন তার মধ্যেই নিজের ক্ষমা প্রার্থনার ভাষা সংশোধন করে নেন।
উল্লেখ্য, শোভন চট্টোপাধ্যায় ও রত্না চট্টোপাধ্য়ায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ সংক্রান্ত মামলাটি চলছে কলকাতার আলিপুর আদালতে। নিয়ম অনুসারে, সাক্ষ্যদান পর্ব সারা হয়ে গেলেই এই মামলার শুনানি বা ট্রায়াল পর্ব শুরু করা হবে।
কিন্তু, রত্নার বক্তব্য ছিল, তিনি আরও বহু সাক্ষ্য বা সাক্ষী পেশ করতে চান। অথচ, নিম্ন আদালত তাঁকে সেই সুযোগ দিচ্ছে না। তাই নিম্ন আদালতের ওই শুনানি এবং বিচার প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন রত্না।
কিন্তু, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের বেঞ্চ তাঁর সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। উচ্চ আদালত জানিয়ে দেয়, এই মামলায় রত্নার আবেদন মেনে কোনও স্থগিতাদেশ দেওয়া হচ্ছে না এবং তাঁর এই আবেদন খারিজ করা হচ্ছে। উপরন্তু, বিচারপতি নির্দেশ দেন, অতি দ্রুত এই মামলার বিচার প্রক্রিয়া নিম্ন আদালতকে সেরে ফেলতে হবে।
এদিকে, এই মামলা চলাকালীনই শোভনের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও রত্না চট্টোপাধ্য়ায়ের মধ্যে বিবাদ চরমে ওঠে। কল্যাণের অভিযোগ ছিল, রত্না তাঁর বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য করেছেন। তা নিয়ে আলাদা করে বিস্তর জলঘোলা হয়, সংবাদমাধ্যমে লেখালিখি শুরু হয় এবং সোশাল মিডিয়ার দেওয়ালও ভরে ওঠে সেসবে।
এবার সেই ঘটনায় রত্না চট্টোপাধ্য়ায় ক্ষমা চেয়ে নেন। কিন্তু, কল্যাণের বক্তব্য হল - রত্না যে ভাষায় ক্ষমা চেয়েছেন, তা সন্তোষজনক নয়। কল্যাণের এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আদালত রত্না চট্টোপাধ্যায়কে তাঁর ক্ষমাপ্রার্থনার ভাষা পরিবর্তন করার জন্য আরও সময় দেন।
পাশাপাশি, রত্না চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী আদালতকে জানান, ভবিষ্যতে যাতে এমন পরিস্থিতি তৈরি না হয়, সেদিকে তিনি খেয়াল রাখবেন। বিচারপতিও জানান, যেকোনও মামলার শুনানি চলাকালীন দুই পক্ষের আইনজীবীরা পরস্পরের উদ্দেশে অনেক কথা বলেন। কিন্তু, সেসব নিয়ে আদালতের বাইরে জলঘোলা হওয়া কখনই কাম্য নয়।