যেমন কথা, তেমন কাজ! ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের ডঙ্কা বাজার বহু আগেই বাংলা থেকে 'ভূতুড়ে ভোটার' বিদায় করার কাজ শুরু করে দিল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। সংবাদমাধ্যমের হাতে আসা তথ্য অনুসারে, সেই কাজ শুরু করা হল খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা এলাকা থেকেই!
সূত্রের আরও দাবি, নেত্রীর নির্দেশ মেনে এই কাজ করতে মাঠে নামছেন স্বয়ং রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ থেকে শুরু করতে চলেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আয়োজিত সভামঞ্চ থেকেই ভুয়ো ভোটার বা ভূতুড়ে ভোটার নিয়ে ফের একবার সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রীতিমতো তথ্য ও উদাহরণ তুলে ধরে নিজের বক্তব্য পেশ করেন তিনি।
মমতা আগেও অভিযোগ করেছিলেন, সম্প্রতি মহারাষ্ট্র ও দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির বিপুল জয়ের নেপথ্যে রয়েছে এই ভুয়ো বা ভূতুড়ে ভোটাররাই। যারা মূলত অনলাইন ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বেআইনিভাবে বিভিন্ন এলাকার ভোটার তালিকায় নিজেদের নাম তুলছে।
কিন্তু, একইসঙ্গে কার্যত চ্যালেঞ্জের সুরে মমতা জানিয়েছিলেন, বিজেপি এই একই ফর্মুলা বাংলায় প্রয়োগ করতে চাইলেও তৃণমূল কংগ্রেস তা ব্যর্থ করেই ছাড়বে। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোরের অনুষ্ঠানমঞ্চ থেকেও ফের একবার সেই বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
সূত্রের খবর, সেই প্রকাশ্য বৈঠকের পর ওই দিনই সন্ধেবেলা কালীঘাটের বাড়িতে আরও একটি জরুরি বৈঠক করেন মমতা। সেই বৈঠকে ভূতুড়ে ভোটার সংক্রান্ত আলোচনা হলেও, তা নাকি ছিল মূলত মমতার নিজের বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুর নিয়ে। সেই বৈঠকে ফিরহাদ ছাড়াও শহরের আরও আট কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
এই বৈঠকে আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন মমতা। নির্দেশ দেন, তার মধ্যেই ভূতুড়ে ভোটারদের চিহ্নিত করে তাদের তালিকা তৈরি করতে হবে। মমতা নির্দিষ্টভাবে জানিয়ে দেন, প্রত্যকটি অঞ্চল, ব্লক ঘুরে ঘুরে ভোটার তালিকা মিলিয়ে তথ্য যাচাই করতে হবে। স্ক্রুটিনি করে জানতে হবে কে প্রকৃত ভোটার, আর কে তা নয়। সবশেষে ভুয়ো ভোটারদের সেই তালিকা তুলে দেওয়া হবে নির্বাচন কমিশনকে। কলকাতার মেয়র নিজেই সেকথা জানিয়েছেন।
তবে, শুধু দলীয় কর্মীরা নন, ভুতুড়ে ভোটার ধরতে শনিবার থেকে ভোটার তালিকা স্ক্রুটিনি কাজ করবেন মেয়র নিজেও। নিজেই বাড়ি বাড়ি ঘুরে তথ্য অনুসন্ধান ও যাচাই করবেন তিনি।