• মুখ্যমন্ত্রীর কথায় ওঠবস করলে সাসপেন্ড হয়ে যেতে পারেন, DMদের সতর্ক করলেন শুভেন্দু
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  • রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিকদের বৃহস্পতিবার তৃণমূলের সভা থেকে হুমকি দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মর্মে রাজ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে অভিযোগ জানালেন বিজেপি বিধায়করা। শুক্রবার দুপুরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে যান বিজেপি বিধায়করা। সাক্ষাৎ সেরে বেরিয়ে শুভেন্দুবাবু বলেন, নির্বাচনী আধিকারিকদের কোনও নির্দেশ দেওয়ার অধিকার নেই মুখ্যমন্ত্রীর। সম্পূর্ণ বেআইনি কাজ করেছেন তিনি।

    এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘কাল মুখ্যমন্ত্রী অ্যাডিশনাল রিটার্নিং অফিসার ও জেলাশাসকদের উদ্দেশে কিছু কথা বলেছেন। যে কেউ ভালো কেউ খারাপ। কেউ প্যাকেট নিচ্ছেন। মানে সরাসরি ঘুষ নেওয়ার কথা বলেছেন। ডেটা এন্ট্রিতে না কি আমরা লোক ঢুকিয়ে দিয়েছি। দুটো কোম্পানির নামও বলেছেন। সব আজগুবি কথা বার্তা। এর সঙ্গে বাস্তবের কোনও সম্পর্ক নেই।’

    এর পরই শুভেন্দুবাবু অভিযোগ করেন, ‘নির্বাচনী বিধি লাগু না থাকলে উনি ডিএম থেকে বিডিও ও ওনার পার্টির কর্মচারীদের যে কোনও মঞ্চ থেকে যা খুশি বলতে পারেন। কিন্তু উনি কালকে এআরও বলেছেন, ভোটার লিস্ট বলেছেন। যেগুলো এক্তিয়ার বহির্ভূত। এআরওকে নির্দেশ দিতে পারেন আরও। আরওকে নির্দেশ দিতে পারেন জেলা নির্বাচনী আধিকারিক বা জেলাশাসক। জেলা নির্বাচনী আধিকারিককে নির্দেশ দিতে পারেন রাজ্যের চিফ ইলেক্টোরাল অফিসার। আর সিওকে নিয়ন্ত্রণ করেন দিল্লির মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। আজকে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে ভিডিয়ো কনফারেন্সিং করে বলতে হবে মুখ্যমন্ত্রী এআরও ও ডিএমদের যে ভয় দেখিয়েছেন, কেউ যেন ভয় না পায়।’

    জেলাশাসকদের সতর্ক করে শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘আমি এই রাজ্যের জেলাশাসকদের একাংশকে একটা কথা বলতে চাই। নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা সম্পর্কে আপনারা জানেন। অন্ধ্র প্রদেশে সেখানকার ৩ জন জেলাশাসক সেরাজ্যের তৎকালীন সরকারের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট ছিলেন বলে তারা সাসপেন্ড হয়ে আছেন। তাদের সাসপেনশন আজও ওঠেনি। তাই আপনারা ভেবে নিন কার কথা শুনবেন। ভালো পোস্টিংয়ের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কথা শুনবেন, না নিজের চাকরি বাঁচাবেন। আমরা কিন্তু ছাড়ব না।’

    বিডিওদের একাংশের দিকে তোপ দেগে শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘বিডিওদের একাংশ ১৫ - ১৮ এর মধ্যে পিএসসিতে সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন। অবৈধ ওবিসির তালিকায় তাদের নাম আছে। যে তালিকা কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ খারিজ করেছে। সুপ্রিম কোর্টেও রাজ্য সরকার স্থগিতাদেশ পায়নি। তারা নিজেদের ভবিষ্যৎ বাঁচানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কথা মতো চলবেন। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে বলেছি আপনি এবিষয়ে নজর রাখুন।’

    শুভেন্দুবাবুর হুঁশিয়ারি, ‘অন্যায়ভাবে হিন্দিভাষী ও মতুয়াদের নিশানা করে যদি ভোটার তালিকা থেকে একটা নাম বাদ যায় তাহলে আমরা বুঝে নেব। পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গাদের নাম রয়েছে কমিশন কী করেছে? আমরা নির্বাচন কমিশনকে ১৬ লক্ষ ডবল এন্ট্রির তালিকা দিয়েছি। কমিশন জানিয়েছে, তার মধ্যে ৮ লক্ষ বাদ দেওয়া হয়েছে।’
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)