বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের হস্টেল থেকে উদ্ধার হলো এক নার্সিং পড়ুয়ার দেহ। হস্টেল সূত্রের খবর, ওই পড়ুয়াকে তাঁর ঘর থেকে থেকেই উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার দুপুর ১২টা নাগাদ হস্টেলের ঘর থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। দুর্গাপুরের মলানদিঘির একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ঘটনা। মৃত ছাত্রীর নাম সুপ্রিয়া কোটাল।
হস্টেল সূত্রের খবর, বেশ কয়েকজন ছাত্রী এসে হস্টেল কর্তৃপক্ষকে জানান, এক পড়ুয়া তাঁর ঘরের দরজা খুলছেন না। তা শুনেই হস্টেল কর্তৃপক্ষ দ্রুত সেই ঘরে পৌঁছন। হস্টেল সূত্রের খবর, দরজা খুলে দেখা যায় খাটে পড়ে রয়েছে সুপ্রিয়ার দেহ। ওই ঘরেই ফ্যানের সঙ্গে একটি ওড়না ঝোলানো ছিল বলে দাবি। সঙ্গে সঙ্গে সুপ্রিয়াকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। হাসপাতালের তরফে খবর দেওয়া হয় সুপ্রিয়ার পরিবার এবং পুলিশকে।
মেডিক্যাল কলেজের তরফে ইন্দ্রনীল মল্লিক জানান, পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। কী ভাবে সুপ্রিয়ার মৃত্যু হলো, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পরিবারের বক্তব্য, পরীক্ষা সংক্রান্ত কোনো একটা বিষয়ে সমস্যা হয়েছিল, অকৃতকার্য হয়েছিলেন সুপ্রিয়া। এরপরেই আজ ঘটে যায় মর্মান্তিক এই ঘটনা।
সুপ্রিয়ার মা মহুয়া কোটাল বলেন, ‘দুপুর সাড়ে বারোটার সময় আমাদের খবর দিয়ে বলা হয় সুপ্রিয়া আইসিইউতে ভর্তি আছে। এসে দেখলাম মেয়ের মৃত্যু হয়েছে।’ সুপ্রিয়ার আত্মীয় পাপাই রক্ষিত বলেন, ‘সুপ্রিয়া গলায় দড়ি দিয়েছে শুনে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পৌঁছাই। এসে দেখি সে মারা গিয়েছে। সুপ্রিয়া শুধু বলতো আমাদের এতগুলো মেয়ের মধ্যে ৫০ জন পাস করেছে দু’জন ফেল করেছি। তবে কী কারণে মৃত্যু হয়েছে আমরা বুঝে উঠতে পারছি না।’
মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অতিরিক্ত সুপার ডাঃ রাজশ্রী গুপ্তা বলেন, ‘সাড়ে বারোটা থেকে একটার মধ্যে ঘটনা ঘটেছে। ওয়ার্ডেন ছাত্রীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে দরজা ভেঙে দেখে সুপ্রিয়াকে রুমে পড়ে থাকতে দেখা যায়। আমাদের যেহেতু নিজস্ব হাসপাতাল আছে সেই জন্য দ্রুত জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানেই চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে। পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখে তদন্ত করছে।’