জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: তৃণমূলের মেগা মিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিশানায় মুকুল রায়! 'যা বলার, দলের মুখপাত্ররা বলবে', এবার মুখ খুললেন মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায়। বললেন, 'এরকম বক্তব্য আগেও অনেক শুনেছি। গায়ে সয়ে গিয়েছে'।
শুভ্রাংশু বলেন, 'বাবা মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। অবস্থা খুবই খারাপ। যতদিন যাচ্ছে, আরও অবনতি হচ্ছে। তাঁর সুস্থতা, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করার চেষ্টা করছি। কিন্তু জানি না, কী হবে। এরকম বক্তব্য আগেও অনেক শুনেছি। গায়ে সয়ে গিয়েছে। যা বলার, দলের মুখপাত্ররা বলবে। অভিষেক ও বাবার ব্য়ক্তিগত ব্য়াপার। আমি ঢুকব না। আমাদের পরিবারের কথা বাইরের কাউকে বলব না। তৃণমূল কংগ্রেস একটা পরিবার'।
ঘটনাটি ঠিক কী? গতকাল, বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে অভিষেক বলেন, 'আমি এমএলএ, আমার কত ক্ষমতা। আমি দলের মুখপাত্র, আমার কত ক্ষমতা। আমি দলের সাংসদ, আমার কত ক্ষমতা। আমি টাউন চেয়ারম্যান, আমার কত ক্ষমতা! দেখাতে গিয়ে আপনি দলকে ছোট করছেন। যাঁরা এই কাজগুলি করেছে, একদিনে ভালো হয়েছে, তাঁদেরকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। বিগত দিনে যাঁরা দলের সঙ্গে বেমাইনি করেছিল, মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী, এদের চিহ্নিত করার কাজটা আমিই করেছিলাম। আগামীদিনে যদি কেউ দলের সঙ্গে বেমাইনি করে, ল্যাজে গোবরে করে, প্যাকেট করে বাংলা ছাড়া করার দায়িত্বটা আমি নিজের কাঁধে তুলে নিলাম'।
চুপ করে থাকেননি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি বলেন, 'একটা লোক হাসপাতালে শুয়ে আছে। এতটুকু মনুষ্যত্ব ওর মধ্যে নেই। তিনি ও তাঁর পিসি মুকুল রায়কে বিজেপি বিধায়ক থেকে তৃণমূলের উত্তরীয় পরিয়ে যোগদান করিয়েছিলেন। এসব ভিডিয়ো তো ঘুরে বেড়াচ্ছে। সবচেয়ে দুর্ভাগ্য, ওর ছেলের সামনে কালকে এটা বলেছে'।
২০১৭ সালে বিজেপি যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলের তৎকালীন সর্বভারতীয় সম্পাদক মুকুল রায়। এরপর স্রেফ দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি হওয়াই নয়, একুশের বিধানসভা ভোটে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে জেতেন পদ্ম-প্রতীকেই। কিন্তু বিধানসভা ভোটে ফল প্রকাশের পর বিজেপি ছেড়ে পুরনো দলে ফিরেছেন মুকুল। সঙ্গে ছেলে শুভ্রাংশু।