• SLST মামলায় পক্ষ হওয়া নিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের বিরোধিতা, বিকাশের আপত্তি শুনল না হাই কোর্ট
    প্রতিদিন | ০১ মার্চ ২০২৫
  • গোবিন্দ রায়: কর্মশিক্ষা-শারীরশিক্ষা বা এসএলএসটি নিয়োগ মামলায় পক্ষ হতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন প্রায় পাঁচশো চাকরিপ্রার্থী। শুক্রবার কলকাতা হাই কোর্টে এই মামলার শুনানিতে চাকরিপ্রার্থীদের আবেদনে আপত্তি জানান আবেদনকারীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। কিন্তু এদিন তাঁর মৌখিক আপত্তি শুনল না হাই কোর্ট। দাবি উড়িয়ে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু জানতে চেয়েছেন, কেন তাঁরা মামলায় পক্ষভুক্ত হতে পারবে না? ২০ মার্চ, পরবর্তী শুনানিতে এনিয়ে হলফনামা পেশ করে জবাবদিহি করতে হবে মূল মামলাকারীকে।

    ২০১৬ সালে SLST-র মাধ‌্যমে কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার চাকরিপ্রার্থীদের প্যানেল প্রস্তুত হয়ে গেলেও বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যর এই মামলার কারণে নিয়োগ আটকে রয়েছে বলে অভিযোগ। ২০২২ সালে রাজ্য সরকারের তৈরি অতিরিক্ত ১৬০০ শূন্যপদ নিয়ে এই মামলা। কিন্তু অভিযোগ, অনেক যোগ্য চাকরিপ্রার্থী সুপারিশপত্র পেয়ে গেলেও নিয়োগ পাননি। মূল মামলাকারীর আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যর দাবি, তাঁর মক্কেলকে অকৃতকার্য দেখিয়ে উলটো পথে নিয়োগের চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার। এটা রাজ্য করতে পারে না।” যদিও রাজ্যের দাবি, “ক্যাবিনেটে এই শূন্যপদ তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছে। যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা যাতে কর্মহীন না হন, তার জন্য রাজ্য এই পদ তৈরি করে। রাজ্যের এই অধিকার আছে।” সুপ্রিম কোর্টে যে মামলা বিচারাধীন তার সঙ্গে এর যোগ নেই বলেও দাবি করা হয়।

    সুপারিশপত্র পেয়ে কাজে যোগ দিতে পারছে না, এদিন এমন যোগ্য ৮১ জন প্রার্থীর আইনজীবী আশিসকুমার চৌধুরী এই মামলায় পক্ষভুক্ত হতে আবেদন জানান। তাঁর দাবি, “এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনও অস্বচ্ছতা প্রমাণিত হয়নি। এবং বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের নির্দেশেই নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। সুতরাং যাঁরা নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁরা প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। ফলে অকৃতকার্য কোনও প্রার্থী সফল তালিকাভুক্ত প্রার্থীদের নিয়োগ চ্যালেঞ্জ করতে পারে না।” তাতেই আপত্তি জানিয়েছিলেন মূল মামলাকারীর আইনজীবী।
  • Link to this news (প্রতিদিন)