• বিশ্বকর্মা পুজোর ছুটি কেটে ইদে ২ দিন ছুটি! সাসপেন্ড শিক্ষা আধিকারিক, নতুন নির্দেশ কলকাতা পুরসভার
    আনন্দবাজার | ০১ মার্চ ২০২৫
  • বিশ্বকর্মা পুজোর ছুটির বদলে দু’দিন ছুটির নোটিস জারি করে শো কজ়ের চিঠি পেয়েছিলেন কলকাতা পুরসভার শিক্ষা বিভাগের চিফ ম্যানেজার সিদ্ধার্থশঙ্কর ধাড়া। শো কজ়ের জবাব দিতে না পারায় তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বস্তুত, বৃহস্পতিবার বিশ্বকর্মা পুজোর ছুটি বিতর্কে চক্রান্তের অভিযোগ করেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মধ্যে একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করেন কলকাতা পুরসভার কমিশনার ধবল জৈন। তাতে বলা হয়েছে, এ বার নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন আবশ্যিক। যদি কোনও আধিকারিক এই নির্দেশিকা উপেক্ষা করেন, সে ক্ষেত্রে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।

    কলকাতা পুরসভার স্কুলগুলিতে বিশ্বকর্মা পুজোর ছুটি বাতিল করে ইদের ছুটি দু’দিন করা হয়েছে বলে অভিযোগ তোলে বিজেপি। সেখান থেকে বিতর্কের সূত্রপাত। তবে পুর কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, তাঁরা ওই নোটিস সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। নোটিসটি বাতিলও করা হয়েছে বলে বিবৃতি দেন পুর কমিশনার ধবল। অন্য দিকে, ছুটি-বিতর্কের মধ্যে পুরসভার শিক্ষা বিভাগের চিফ ম্যানেজারকে শো কজ় করা হয়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে তিনি উত্তর-না দেওয়ায় তাঁকে সাসপেন্ডের চিঠি দিয়েছেন কলকাতা পুরসভার কমিশনার। পুরসভা কর্তৃপক্ষের দাবি, কারও সঙ্গে আলোচনা না করে ছুটির বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলেন সিদ্ধার্থ। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “পুরসভার ওই অফিসার ইচ্ছাকৃত ভাবে এই নির্দেশ জারি করেছিলেন। এটা এক ধরনের বদমায়েশি।”

    ভবিষ্যতে এ রকমের ভুল যাতে না হয়, সে বিষয়ে পুরসভার আধিকারিকদের আরও সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুরসভার কমিশনার একটি নির্দেশিকা জারি করেছেন। তাতে বলা হয়েছে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতীত কোনও আধিকারিক নীতিগত সিদ্ধান্ত সংক্রান্ত কোনও নির্দেশিকা জারি করতে পারবেন না। পুরসভার প্রতিটি বিভাগের কন্ট্রোলিং অফিসার বা ডেপুটি কমিশনারকে ওই চিঠি পাঠানো হয়েছে।

    ওই নির্দেশিকার পরে পুরসভার আধিকারিকদের একাংশ মনে করছেন, নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁদের স্বাধীনতা কমল। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘আমরা কাজ করার সময় স্বাভাবিক ভাবে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি। এখন প্রতিটি বিষয়ে ঊর্ধ্বতনদের অনুমোদন নিতে হলে প্রশাসনিক কাজকর্মে গতি কমে যাবে।’’

  • Link to this news (আনন্দবাজার)