ফাল্গুনি ঘোষ। আত্মীয়াকে খুন করে ট্রলিতে ভরে ফেলার অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। এবার মুখ খুলছেন সেই ফাল্গুনির স্বামী। আসলে বিয়ের পর থেকেই ফাল্গুনির আচরণে কার্যত তিতিবিরক্ত ছিলেন তিনি। কিন্তু মুখ ফুটে বিশেষ কিছু বলতে পারতেন না। স্ত্রী ফাল্গুনি ও শাশুড়ি আরতি ঘোষ। দুজনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিধবা, নিঃসন্তান পিসি শাশুড়ির সম্পত্তির লোভে যে তাঁকে খুন করে একেবারে ট্রলিতে ভরে ফেলতে পারেন ফাল্গুনি এটা ভাবতে পারছেন না তাঁর স্বামী।
আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেছেন ফাল্গুনির স্বামী। তিনি জানিয়েছিলেন, ম্যাট্রমনি সাইটে আমার বিয়ের জন্য বাবা বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন। অনেককে দেখার পরে ফাল্গুনির সঙ্গে আমার বিয়ে ফাইনাল করেছিলেন বাবা। তিনি আরও জানিয়েছেন, ফাল্গুনির বাবা প্রয়াত। পিতৃহারা মেয়ে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে টিউশন পড়িয়ে সংসার চালায় এটা শুনে বাবার ভালো লেগেছিল। আমাদের বিয়ের সময় ফাল্গুনি আর ওর মা থাকত দমদমের পূর্ব সিঁথি এলাকায়। বিয়ের কিছুদিনের মধ্য়েই কলকাতায় যাওয়ার জেদ শুরু করে ও। অনেক বুঝিয়েছি। অসমে আমাদের আর একটি বাড়িতে ওকে নিয়ে থাকা শুরু করি। কিন্তু তারপরেই গণ্ডগোল। জানিয়েছেন ফাল্গুনির স্বামী।
তিনি জানিয়েছেন, ও আমার সামনেই ওর পুরুষ বন্ধুদের সঙ্গে অশালীন আলোচনা করত। ওদের গল্পের বিষয়ে আমার আপত্তি ছিল। নিষেধ করলেই চিৎকার, বাড়িতে অশান্তি। তারপর ওর নিয়মিত মদ্যপান ও সিগারেট খাওয়ার অভ্যাস ভালো লাগেনি আমার। তবে পরিবারের সম্মানের কথা ভেবে কাউকে কিছু বলিনি।
একটা ঘটনার কথা উল্লেখ করেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন, যোরহাটে আমাদের পাড়ার দুর্গাপুজো ছিল সেবার। ও মদ খেয়ে নাচানাচি করে জ্ঞান হারিয়ে মণ্ডপে পড়ে যায়। প্রতিবেশীরা ওকে বাড়ি দিয়ে গিয়েছিল।
তবে তার থেকেও বেশি হতবাক এই খুন করে বডি ট্রলিতে ভরে ফেলার ঘটনায়। তবে ধরা পড়ার পরেও যেভাবে চোটপাট করছিলেন তিনি তা অনেকেরই নজর কেড়েছে। তবে ফাল্গুনির অতীতের যে সমস্ত কথা ক্রমশ সামনে আসছে তা যথেষ্ট উদ্বেগের।
তার স্বামী জানিয়েছেন, নতুন একটা ফ্ল্যাট কিনতে চেয়েছিলেন ফাল্গুনি। সেজন্য পিসির ১৮ ভরি সোনার গয়না ও ব্যাঙ্কে থাকা ৬ লক্ষ টাকার উপর নজর পড়েছিল তাঁর। আসলে ফ্ল্যাটের জন্য ডাইন পেমেন্ট করতে হত ৬ লাখ। সেজন্য মরিয়া ছিলেন ফাল্গুনি।