বাড়ি ফেরার পথে দুই ছাত্রীকে হেনস্থার অভিযোগ। স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মীর নাম করে ওই দুই ছাত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলা o তাদের উত্যক্ত করার অভিযোগ। ঘটনা মধ্যমগ্রামের বাদু এলাকায়। একজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও সেই ব্যক্তি জামিনে ছাড়া পেয়ে যাওয়ার ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। শুক্রবার রাতে টায়ার জ্বালিয়ে বাদু রোডে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই দুই পড়ুয়া বাড়ি ফিরছিলেন। গাড়ি না পাওয়ায় মধ্যমগ্রাম থেকে একটি ভ্যানে চেপে বাড়ি ফিরছিল। সেই সময়ে রাস্তায় বাইক দুই যুবক ভ্যানের পিছু নেয়। দুই পড়ুয়াকে উত্যক্ত করা হয় বলে অভিযোগ। দুই পড়ুয়ার দাবি, কিছুক্ষণ পর ভ্যান চালককে ফোন করে ওই দুই যুবক। স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মীর নাম নিয়ে ফোনে কথা বলার চেষ্টা করেন ওই দুই যুবক।
ফোনে কথা বলতে না চাইলেও জোর করেন সেই ভ্যান চালক। বাধ্য হয়ে ওই দুই পড়ুয়া কয়েক মিনিটের জন্য ফোনে কথা বলে। ফোনের ওপার থেকে আসাদুল ইসলাম নামে এক তৃণমূল কর্মীর নাম নিয়ে এক যুবক কথা বলে। দুই ছাত্রীর ফোন নম্বর নেওয়ার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। এর পরেই ভ্যান থেকে দৌড়ে বাড়ি ফিরে পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানায় ওই দুই ছাত্রী।
বাদু ফাঁড়িতে অভিযোগ জানানো হয় দুই ছাত্রীর পরিবারের তরফে। একজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও জামিনে মুক্তি পেয়ে যান তিনি। শুক্রবার রাতে থানার সামনে এ ধরনের অন্যায় ঘটনার বিচারের দাবিতে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখায় এলাকাবাসী। তাঁদের দাবি, মূল অপরাধী-সহ গোটা ঘটনার সঙ্গে জনরা জড়িত তাঁদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে। অবরোধ সামাল দিতে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয় বারাসাত থানা থেকে।
অন্যদিকে, ঘটনা শুনে ওই দুই ছাত্রী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন আসাদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ আমি কোনও ভ্যান চালকের সঙ্গে কথা বলিনি। আমার নাম কেন নেওয়া হলো জানি না। আসাদুল নামে এই এলাকায় অনেকেই রয়েছে। এই ঘটনায় দোষীরা ধরা পড়ুক, সেটা আমিও চাইছি।’