বলভদ্রপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্লাটিনাম জয়ন্তী উদযাপন শুরু
বর্তমান | ০১ মার্চ ২০২৫
সংবাদদাতা, বেলদা: স্বাধীনতার আগে দাঁতনে শিক্ষার উন্মেষ ঘটাতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বলভদ্রপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্বাধীনতার আগে চালু হলেও স্বাধীনোত্তর ভারতবর্ষে ১৯৪৯সাল থেকে স্কুল বোর্ডের অধীনে এসেছিল এই বিদ্যালয়। তাই সেই বছরকেই প্রতিষ্ঠা বর্ষ হিসেবে মান্যতা দেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী এই বিদ্যালয় ৭৫বছর পূর্ণ করেছে। এই উপলক্ষ্যে ২৮ফেব্রুয়ারি থেকে ২ মার্চ পর্যন্ত বিদ্যালয়ে ‘পায়ে পায়ে ৭৫ প্লাটিনাম জয়ন্তী ও পুনর্মিলন উৎসব’ উদযাপিত হচ্ছে।শুক্রবার সকালে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে এই উৎসবের সূচনা হয়। বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে শোভাযাত্রাটি সারা গ্রাম পরিক্রমা করে। বিকেলে প্রদীপ জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। বিদ্যালয়ে পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের আবক্ষ মূর্তির আবরণ উন্মোচন হয়। উদ্বোধনী মঞ্চে বিধায়ক পরেশ মুর্মু, দাঁতন-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কনক পাত্র, পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সুশান্ত ঘোষ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। আগামী তিনদিন ধরে প্লাটিনাম জয়ন্তী উপলক্ষ্যে নানা অনুষ্ঠান হবে।
স্বাধীনতার সময় দাঁতনের বলভদ্রপুর, পাখরবাড়(ঘোলাই), বাঁশকনি ও তকিনগর গ্রামের পড়ুয়াদের পড়াশোনার একমাত্র ভরসা ছিল বলভদ্রপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্কুলের তরফে জানানো হয়েছে, প্রয়াত গোপীনাথ দাসের প্রচেষ্টায় ও প্রয়াত কৈলাসচন্দ্র দাসের তত্ত্বাবধানে রাস্তার ধারে এই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। পরবর্তীকালে প্রয়াত প্রফুল্ল দাসের দুই পুত্র শরৎ দাস ও গৌতম দাস জায়গা দিলে গ্রামের মাঝে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়।
বিদ্যালয়ের টিআইসি ব্রততী সামন্ত ও সহশিক্ষক মৃত্যুঞ্জয় ষড়ঙ্গী বলেন, স্কুলের সূচনালগ্ন থেকে ব্রজেন্দ্রনাথ দাস, গুণধর সাউ, অশোক চট্টোপাধ্যায়, রমাপতিবাবুর মতো গুণী ব্যক্তিরা শিক্ষকতা করে এসেছেন। বিদ্যালয়ের প্রাক্তনী অমৃত দাস, বরুণকুমার সাহু, পার্থিব দাস বলেন, ৭৫ বছরে বিদ্যালয়ের বহু প্রাক্তনী বিভিন্ন জায়গায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। আমাদের পক্ষে সবার কাছে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তবে ২ মার্চ রবিবার তাঁরা যেন আন্তরিকতার সঙ্গে প্রাক্তনী পুনর্মিলন উৎসবে অংশগ্রহণ করেন-আমরা এই কামনাই করছি। -নিজস্ব চিত্র