সংবাদদাতা, হলদিয়া: শ্রীরামকৃষ্ণদেবের জন্মজয়ন্তী তিথি উদ্যাপন ও তিনদিন ধরে বার্ষিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করল সুতাহাটার হোড়খালির নবকুসুম সঙ্ঘ। হুগলি নদীর তীরে হোড়খালির বাহারডাব নবকুসুম সঙ্ঘে শ্রীরামকৃষ্ণদেব, মা সারদাদেবী ও স্বামী বিবেকানন্দের জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠান প্রতিবছরের মতো এবারও সাড়ম্বরে উদ্যাপিত হয়েছে। ২৭ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় তিনদিনের জন্মজয়ন্তী উৎসব। মঙ্গল শঙ্খধ্বনি ও বেদমন্ত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়ে উৎসবের সূচনা হয়। একই সঙ্গে বিবেকানন্দ শিশু মন্দিরের বার্ষিক ক্রীড়া, আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান চলে। দশম শ্রেণি পর্যন্ত বালকদের দৌড় প্রতিযোগিতা, ৬০ বৎসরের ঊর্ধ্বে মহিলাদের হাঁটা প্রতিযোগিতা দেখতে ভিড় জমে। পুরস্কার বিতরণ ও শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ, বিদ্যুৎলতা মেধা পুরস্কার প্রদানের পর অনুষ্ঠিত হয়েছে ছাত্রছাত্রীদের অভিনীত নাটক ‘জল বাঁচাও জীবন বাঁচাও’। আজ, শনিবার ঠাকুর-মা-স্বামীজীর প্রতিকৃতি সহযোগে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, রামকৃষ্ণদেবের জন্মতিথি উপলক্ষ্যে উপাসনা মন্দিরে বিশেষ পুজো, প্রার্থনা, ভজন, কীর্তন এবং ভোগ নিবেদিত হবে। বিকাল ৪টায় ঠাকুর-মা-স্বামীজীর অনুধ্যান এবং বিশিষ্ট অতিথিবৃন্দের উপস্থিতিতে সুসজ্জিত ব্রতচারী অভিপ্রদর্শনী হবে। উপস্থিত থাকবেন রামকৃষ্ণ সারদা মিশন আশ্রমের সাধারণ সম্পাদক স্বামী বিবেকাত্মানন্দজি মহারাজ, ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ব্রহ্মচারী গৌতমানন্দজি মহারাজ, হলদিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনোরঞ্জন ঘোষ প্রমুখ। অতিথি শিল্পী সমন্বয়ে সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। ১৯৬০ সালের ১৫ আগস্ট সুতাহাটা তফসিলি এলাকায় বন্যা, প্লাবন, অতিবৃষ্টিতে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ছিটেবেড়ার ঘরে প্রথম শুরু হয় নবকুসুম সঙ্ঘ। ইতিমধ্যে সেবাকাজের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠানের শ্রীবৃদ্ধি ঘটেছে।-নিজস্ব চিত্র