নিজস্ব প্রতিনিধি, তমলুক: তমলুক শহরের ৮নম্বর ওয়ার্ডে মহাপ্রভু মন্দিরপাড়ায় তারামায়ের পুজো উপলক্ষ্যে এলাকার বাসিন্দারা আনন্দোৎসবে মেতেছেন। তমলুক নবীন সঙ্ঘের পরিচালনায় এই পুজো এবার সপ্তম বর্ষে পড়ল। তারাপীঠের তারা মায়ের আদলে প্রতিমা তৈরি হয়েছে। শুক্রবার মণ্ডপে প্রতিমা আনা হয়। পুজো উপলক্ষ্যে তিনদিনের অনুষ্ঠান এদিন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে। সন্ধ্যায় পুজোর উদ্বোধন হয়। তমলুক পুরসভার চেয়ারম্যান দীপেন্দ্রনারায়ণ রায়, ক্লাব সভাপতি অলোককুমার দিণ্ডা, যুগ্ম সম্পাদক স্বপনকুমার দাস ও তারক বসাক সহ অন্যরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। পুজো উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়।শনিবার দেবীর পুজো ও মহাযজ্ঞ হবে। তারাপীঠ থেকে পুরোহিত এসেছেন। একেবারে তারাপীঠের ঘরানায় এখানে দেবীর আরাধনা ও মহাযজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছে। সকাল ৮টায় মায়ের পুজো শুরু হবে। রাত ৮টায় শুরু হবে মহাযজ্ঞ। প্রতিবছর মহাযজ্ঞ চলাকালীন প্রচুর ভক্তসমাগম হয়।আগে নবীন সঙ্ঘ কালীপুজো আয়োজন করত। কিন্তু পাশাপাশি দু’টি ক্লাব কালীপুজো আয়োজন করায় মাঠ পাওয়া নিয়ে সমস্যা হতো। সেজন্য এই ক্লাব কালীপুজোর বদলে সাতবছর ধরে তারা মায়ের আরাধনা করছে। শনিবার বিকেলে অঙ্কন প্রতিযোগিতা হবে। নার্সারি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাসভিত্তিক তিনটি বিভাগে এই প্রতিযোগিতা হবে। উদ্যোক্তারা প্রত্যেক প্রতিযোগীর জন্য পুরস্কারের ব্যবস্থা রেখেছেন। ২মার্চ রবিবার সকাল ১১টায় ভোগ বিতরণ হবে। সন্ধ্যা ৬টায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান রয়েছে। ক্লাব সভাপতি অলোককুমার দিণ্ডা বলেন, একসময় আমরা কালীপুজো করতাম। শহরে কালীপুজোর সংখ্যা বেশি হওয়ায় ওইসময় মাঠ পাওয়া নিয়ে সমস্যা হয়। তখনই আমরা তারা মায়ের পুজো করার সিদ্ধান্ত নিই। ক্লাবের সদস্যদের অনেকে তারা মায়ের ভক্ত। এই পুজো করে আমরা ভালো সাড়া পাচ্ছি। সাতবছর ধরে আমরা পুজো ও মহাযজ্ঞ আয়োজন করে আসছি। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা থাকায় শব্দবিধি মেনে আমরা পুজো করছি।-নিজস্ব চিত্র