চুয়ার বিদ্রোহের ইতিহাস পড়ানো হতে পারে প্রাথমিকের সিলেবাসে: শিক্ষামন্ত্রী
বর্তমান | ০১ মার্চ ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুর: রানি শিরোমণির নেতৃত্বে হওয়া চুয়াড় বিদ্রোহের ইতিহাস স্থান পেতে পারে প্রাথমিকের পাঠ্য পুস্তকে। শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের উদ্যোগে ৪০তম রাজ্য বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় উপস্থিত হয়ে একথা জানালেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শিক্ষামন্ত্রীর এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন জেলাবাসী। এদিন শালবনী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু স্টেডিয়ামে রাজ্য বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় ব্রাত্য ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া, শিউলি সাহা ও শ্রীকান্ত মাহাত। এছাড়াও মেদিনীপুরের সাংসদ জুন মালিয়া সহ পুলিস ও প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। শুক্রবার ও শনিবার প্রতিযোগিতা হবে। রাজ্যের ২৩টি জেলা থেকে প্রায় এক হাজার প্রতিযোগী অংশ নিয়েছে। প্রতিযোগিতায় মোট ৫২টি ইভেন্ট রয়েছে।
এদিন ব্রাত্য বসু বলেন, রাজ্যের ৭২৬টি সার্কেল রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুসারে প্রতিটি সার্কেলকে খেলাধুলোর উন্নতির জন্য ১ লক্ষ ১৫ হাজার ৫০০ টাকা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৬২টি সাব ডিভিশনকে দেওয়া হয়েছে ১ লক্ষ ৫ হাজার টাকা করে। এতে খেলাধুলোর পরিকাঠামোগত উন্নতি হবে। পাশাপাশি রাজ্যের ২৩টি জেলাকে ৭ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। খেলাধুলোর জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খরচ করছেন প্রায় ১৭ কোটি টাকা। এতে মেধা সম্পদ ও স্বাস্থ্য সম্পদের আরও উন্নতি হবে। তিনি আরও বলেন, রানি শিরোমণির নেতৃত্বে চুয়াড় বিদ্রোহের ইতিহাস মানুষ জানেন। মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া বিষয়টি নিয়ে আমাকে বলেছেন। এই ইতিহাস পাঠ্য পুস্তকে রাখার চেষ্টা করব। এছাড়া খেলাধুলোর উন্নয়নে মাঠের সংস্কার, ইনডোর স্টেডিয়াম সহ একগুচ্ছ কাজ হবে বলে আশাবাদী। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, একসময় শালবনী এলাকায় মাওবাদীদের দৌরাত্ম্য ছিল। সেই সময়ে খেলাধুলোর পরিবেশ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তবে ২০১১ সালের পর থেকে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। শান্তি ফিরতে শুরু করে এলাকায়। বর্তমানে সেই শালবনীতে প্রাথমিকের রাজ্য বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ঘিরে উন্মাদনা তুঙ্গে। এদিন শালবনী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু স্টেডিয়ামে প্রতিযোগীদের উৎসাহ দিতে প্রচুর মানুষ হাজির হন। গ্রাম পঞ্চায়েত, ব্লক, জেলাস্তরে জয়ী হয়ে প্রতিযোগীরা রাজ্য ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে। মেদিনীপুরের প্রতিযোগী বৃষ্টি সিং জানায়, দারুন এক অভিজ্ঞতা হল। এত বড় মাঠে হওয়া প্রতিযোগিতায় নামব তা ভাবতেই পারিনি। মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া বলেন, এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে খেলাধুলোর আরও উন্নতি হবে। খেলাধুলোর পরিকাঠামোগত উন্নতির জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নানা পরিকল্পনা করছেন। এতে প্রত্যন্ত এলাকার খেলোয়াড়রা উপকৃত হবেন। স্বাধীনতার পর থেকে খেলাধুলোর মান উন্নয়নে এত কাজ আগে হয়নি। শুক্রবার শালবনিতে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধনে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।-নিজস্ব চিত্র