রঘুনাথগঞ্জে সন্মতিনগরে আধুনিক ও স্মার্ট পঞ্চায়েত ভবনের উদ্বোধন
বর্তমান | ০১ মার্চ ২০২৫
সংবাদদাতা, জঙ্গিপুর: রঘুনাথগঞ্জের সন্মতিনগর গ্রামপঞ্চায়েতের ঝাঁ চকচকে নতুন ভবনের দ্বারোদঘাটন হল। শুক্রবার বিকেলে এই ভবনের উদ্বোধন করেন রাজ্যের বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী মহম্মদ আখরুজ্জামান। রঘুনাথগঞ্জ-২ বিডিও দেবোত্তম সরকার, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মোমিনা খাতুন, গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মুর্তুজা শেখ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পূর্বের ভবনটি বহু পুরনো ও ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছিল। অফিসে আসা সাধারণ মানুষকে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছিল। এলাকাবাসীকে আরও ভালো পরিষেবা দিতেই আধুনিক ও স্মার্ট পঞ্চায়েত ভবন নির্মাণ করা হয়েছে বলে কর্মকর্তাদের দাবি।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মানুষকে ভালো পরিষেবা দিতে যা কিছু প্রয়োজন, তা করে চলেছেন। সরকারকে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে একটা গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এতে সাধারণ মানুষ আরও ভালো পরিষেবা পাবে।
সন্মতিনগর গ্রামপঞ্চায়েতের পূর্বের ভবনটি ভগ্ন অবস্থায় ছিল। ভবনের ছাদ ও দেওয়াল থেকে প্রায়শই ছোটবড় চাঙড় খসে পড়ত। ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করেছিল পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও ভবনটি ছোট হওয়ায় কাজে এসে সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়তেন। তাঁদের আরও ভালো ও উন্নত পরিষেবা দিতেই বর্তমান প্রধান নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেন। নতুন ভবনের প্রতিটি রুম শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। এছাড়াও পরিস্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা রয়েছে। সাধারণ মানুষের বসার জায়গায় স্মার্ট টিভি ও ওয়াইফাই পরিষেবাও থাকছে। পঞ্চায়েত ভবনটিকে আধুনিক ও স্মার্ট অফিসের আদলে সুসজ্জিত রূপে গড়া হয়েছে। এই ভবনটি নির্মাণ করতে খরচ হয়েছে প্রায় ৬০লক্ষ টাকা। এতে ফিফথ, ফর্টিন, ফিফটিন ফিনান্স, পিবিজি ও ওন ফান্ড এবং গ্রামপঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিরা নানাভাবে সাহায্য করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান বলেন, আমাদের অফিস খুব ছোট ছিল। পুরনো হয়ে যাওয়ায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা ছিল। তাছাড়া অফিসে উচ্চ পদস্থ অফিসারা এলে ঠিকমতো বসতে দিতে পারতাম না। তখন থেকেই ইচ্ছে ছিল একটি আধুনিক অফিস নির্মাণের। সকালের চেষ্টায় তা সম্ভব হয়েছে।
প্রাক্তন প্রধান ও বর্তমান গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য আশিসরবণ দাস বলেন, আমার আমল থেকেই এই ভবন নির্মাণের চেষ্টা চলছিল। সেটা এখন সফল হল। এতে এলাকার মানুষেরই উপকার হবে। বিডিও বলেন, পুরনো ভবনটিকে ভেঙে সেখানে পার্কিং জোন ও ভবন নির্মাণ করা হবে। নিজস্ব চিত্র