সংবাদদাতা, রামপুরহাট: শুক্রবার সকালে তারাপীঠ মন্দিরে সস্ত্রীক পুজো দিলেন দেশের উপ রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকার। এদিন সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ তাঁর হেলিকপ্টার নামে রামপুরহাটের সুঁরিচুয়া বিমানঘাঁটিতে। সেখান থেকে সড়কপথে সকাল দশটা নাগাদ তিনি আসেন তারাপীঠ মন্দিরে। মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে উপ রাষ্ট্রপতির হাতে পদ্মফুল তুলে দিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হয়। পরে তাঁকে দেবী তারার প্রতিকৃতি ও শাল দিয়ে স্বাগত জানানো হয়। সেই সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর হাতে শাড়ি ও আলতা-সিঁদুর তুলে দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক বিধান রায়, জেলা পুলিস সুপার আমনদীপ সহ পদস্থ অফিসাররা। এদিন গর্ভগৃহে প্রবেশ করে তাঁরা পুজো ও অঞ্জলি দেন। সেই সময় গোটা মন্দির চত্বর ঘিরে রেখেছিল পুলিস। সাধারণ পুণ্যার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
মিনিট কুড়ি পর মন্দির থেকে বেরিয়ে আসার পথে সাংবাদিকদের উপ রাষ্ট্রপতি বলেন, মা তারাকে দর্শন করে আমরা দু’জনে অভিভূত হয়েছি। দেশের কল্যাণের জন্য প্রার্থনা করেছি। সবাইকে শুভকামনা জানাই। আমাদের ধর্মস্থলগুলি প্রেরণার উৎস। এই সংস্কৃতিকে রক্ষা করা আমাদের পরম দায়িত্ব।
মন্দির কমিটির উপদেষ্টা মণ্ডলীর আহ্বায়ক রবি মুখোপাধ্যায় বলেন, দেবীকে তিনটি মালা, বেনারসি শাড়ি, চুর্ণি ও অন্যান্য সামগ্রী দিয়ে পুজো অর্পণ করেছেন সস্ত্রীক উপ রাষ্ট্রপতি। তিনি প্রথমে দেশের কল্যাণ ও পরে পরিবারের নামে পুজো দেন। উনি খুব সন্তুষ্ট হয়েছেন এবং বলেছেন, মায়ের দর্শন করে নতুন শক্তি নিয়ে এখান থেকে ফিরে যাচ্ছি। ওই শক্তির মাধ্যমেই আমি আবার পুনরায় দেশের কাজে আত্মনিয়োগ করব। রবিবাবু বলেন, উপ রাষ্ট্রপতির আসার আগে ও তাঁর পুজো চলাকালীন এক ঘণ্টা দশ মিনিট সাধারণ পুণ্যার্থীদের পুজো নেওয়া বন্ধ রাখা হয়েছিল। এদিন তারাপীঠ থেকে সুঁরিচুয়া উপ রাষ্ট্রপতির যাত্রাপথে যান নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি রাস্তার দু’ধারে প্রচুর পরিমাণে পুলিস মোতায়েন করা হয়েছিল। নিজস্ব চিত্র