• রামপুরহাট-তারাপীঠ রাস্তার ওপর থেকে তোলা হল বেশ কিছু হাম্প
    বর্তমান | ০১ মার্চ ২০২৫
  • সংবাদদাতা, রামপুরহাট: ‘বর্তমান’- এর খবরের জেরে মিলল সুরাহা। রামপুরহাট থেকে তারাপীঠ যাওয়ার রাস্তায় তুলে দেওয়া হল বেশ কিছু হাম্প। এই রাস্তায় অজস্র হাম্প বসানোর ফলে দুর্ঘটনাপ্রবণ হয়ে উঠেছিল। প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত হাম্প বসানো নিয়ে প্রশাসনের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও প্রশ্ন তুলছিলেন। অবশেষে পরিবহণ দপ্তর ও পুলিস সরেজিমনে খতিয়ে দেখে অতিরিক্ত হাম্প সরানোর সিদ্ধান্ত নেয়। 


    দুর্ঘটনা রোধে রামপুরহাটের বড়শাল গ্রাম থেকে তারাপীঠ পর্যন্ত রাস্তার উপর বসানো হয়েছিল অজস্র হাম্প। বড়শাল থেকে তারাপীঠের পূর্ব সাগর মোড় পর্যন্ত সাড়ে চার কিমি রাস্তায় ১৩টি স্পট মিলিয়ে ৪১টি প্লাস্টিকের হাম্প বসানো হয়েছিল। কোথাও একসঙ্গে তিনটি, কোথাও দু’টি হাম্প। দু’টি স্পটের মধ্যে দূরত্ব মেরেকেটে ১০০ মিটারও নয়। সেগুলি দূর থেকে চেনার উপায় না থাকায় দুর্ঘটনা ঘটছে অহরহ। হাম্পে ধাক্কা খেয়ে ছিটকে পড়ে বহু মোটরবাইক আরোহী আহত হচ্ছেন। মারাও যাচ্ছেন। দিন কয়েক আগেই এই রাস্তায় বড়শাল গ্রামের কাছে হাম্প পেরনোর সময় বাইক নিয়ে উল্টে মৃত্যু হয় তারাপীঠ মন্দিরের এক সেবাইতের। আবার রাস্তায় বেশি হাম্প থাকায় গুরুত্বপূর্ণ এই রাজ্য সড়কে কমেছে গাড়ির গতিও। পরিকল্পনা না করেই হাম্পগুলি বসানো হয়েছে বলে পর্যটক থেকে এলাকার মানুষ অভিযোগ তোলেন। তাই নিয়ে প্রশাসনিক কর্তাদের চাপানউতোর শুরু হয়। পিডব্লুডি রোডসের সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার জয়ব্রত রায় বলেন, আমাদের ডিপার্টমেন্ট থেকে ওই রাস্তায় হাম্প বসানো হয়নি। মহকুমা শাসকের অধীনে থাকা সেফটি সিকিউরিটি কমিটি রয়েছে। কোথায় হাম্প বসানো হবে, তা নিয়ে সেখানে রেজুলেশন হয়। তার ভিত্তিতে পুলিসের পক্ষ থেকে সেগুলি বসানো হয়েছে। অন্যদিকে মহকুমা শাসক সৌরভ পান্ডে দাবি করেন, রোড সেফটি কমিটিতে এই রাস্তায় হাম্প বসানো নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। ওই রাস্তায় একটু বেশিই হাম্প বসানো হয়েছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)