টাকা নিয়ে বার্থ সার্টিফিকেট প্রদান প্রাক্তন অঞ্চল সহায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ
বর্তমান | ০১ মার্চ ২০২৫
সংবাদদাতা, ফালাকাটা: গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের ডিজিটাল সই ব্যবহার করে টাকার বিনিময়ে জন্ম এবং মৃত্যুর সার্টিফিকেট পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল ফালাকাটা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন অঞ্চল সহায়কের বিরুদ্ধে। ফালাকাটা থানায় এই অভিযোগ দায়ের করেছেন সংশ্লিষ্ট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। বিষয়টি জানাজানি হতে শোরগোল পড়েছে।
ফালাকাটা-২ গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে খবর, কিছুদিন আগে দক্ষিণবঙ্গের এক জেলা থেকে এক গৃহবধূ ফালাকাটা-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় আসেন। সেখানে অন্য পুরুষের সঙ্গে ঘর বাঁধেন। বধূর এক সন্তানও আছে। ওই শিশুটির বাবা বধূর প্রাক্তন স্বামী। কিন্তু, বর্তমান স্বামীকে বাবা হিসেবে দেখিয়ে ফালাকাটা-২ গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস থেকে ওই বধূ সেই সন্তানের বার্থ সার্টিফিটিকেট বের করেন বলে অভিযোগ। টাকার বিনিময়ে তৎকালীন অঞ্চল সহায়ক মলিন বর্মন ওই বধূকে সার্টিফিকেট দেন বলে অভিযোগ।
এক মাস আগে অঞ্চল সহায়ক মলিন বর্মন পদোন্নতি হয়ে ব্লকের শালকুমার গ্রাম পঞ্চায়েত অঞ্চল সচিব হিসাবে কাজে যোগদান করেন। এই দুর্নীতির বিষয়টি এতদিন প্রকাশ্য আসেনি। সম্প্রতি দক্ষিণবঙ্গ থেকে একটি বার্থ সার্টিফিকেটের ভেরিভিকেশন চিঠি ফালাকাটা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে আসতেই বিষয়টি জানাজানি হয়।
এবিষয়ে ফালাকাটা-২ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান রবিকুমার মিঞ্জ বলেন, ওই বার্থ সার্টিফিকেট ভেরিভিকেশন করতে গিয়েই বিষয়টি বোঝা যায়। জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্র অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে দেওয়া হয়। এজন্য পাসওয়ার্ডও থাকে অঞ্চল সহায়কের কাছে। সেই সহায়ক কিছু না জানিয়ে টাকার বিনিময়ে সার্টিফিকেট দিয়েছেন। এমন তথ্য হাতে আসতেই বিডিওকে সবটা জানানো হয়। বিডিও অফিস থেকে প্রতিনিধিরা এসে খতিয়ে দেখেন। বিডিওর নির্দেশে ২৬ ফেব্রুয়ারি ফালাকাটা থানায় সহায়কের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
এই ব্যাপারে ফালাকাটার বিডিও অনীক রায় বলেন, কিছু জন্ম ও মৃত্যুর সার্টিফিকেট প্রয়োজনীয় নথিপত্র ছাড়াই ইস্যু হয়েছে। এটা অঞ্চল সহায়ক ইচ্ছাকৃতভাবে করেছেন, না কি ভুল করে করেছেন তার তদন্ত হচ্ছে। প্রধান থানায় অভিযোগ করেছেন। পুলিস বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। ফালাকাটা থানার আইসি সমিত তালুকদারের কথায়, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শুরু হয়েছে।
এদিকে, অভিযুক্ত সেই অঞ্চল সহায়ক মলিন বর্মনকে ফোনে পাওয়া যায়নি। তার ফোন সুইচড অফ। এখন তিনি শালকুমার গ্রাম পঞ্চায়েতের সচিব। এই চক্রে আরও কে কে জড়িত সেটাই এখন তদন্ত করে দেখছে পুলিস। ফালাকাটা-২ পঞ্চায়েত। - নিজস্ব চিত্র।