সল্টলেকের ১৪টি ওয়ার্ডেই হবে রাস্তা সংস্কার, বরাদ্দ ২৫ কোটি
বর্তমান | ০১ মার্চ ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: অভিজাত শহর সল্টলেকের রাস্তায় হোঁচট খাচ্ছেন পথচারীরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কানেও গিয়েছে সল্টলেকের রাস্তাঘাটের এই বেহাল দশার কথা। তাই সল্টলেকের অন্তর্গত ১৪টি ওয়ার্ডের রাস্তা সংস্কারের জন্য ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। শুক্রবার বিধাননগরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী সুজিত বসু এবং বিধাননগর পুরসভার মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছেন, টেন্ডার হয়ে গিয়েছে। আগামী ৩ মার্চ ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের নয়াপট্টি থেকে কাজ শুরু হবে। এক মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
বিধাননগর পুরসভার মোট ৪১টি ওয়ার্ড। এর মধ্যে বিধাননগর, রাজারহাট-নিউটাউন এবং রাজারহাট-গোপালপুর মিলিয়ে তিনটি বিধানসভা রয়েছে। বিধাননগর বিধানসভা এলাকার মধ্যেই পড়ে সল্টলেকের ১৪টি ওয়ার্ড। বাকি ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে রাজারহাট-নিউটাউন বিধানসভায় ১১টি এবং রাজারহাট-গোপালপুর বিধানসভায় ১৬টি ওয়ার্ড রয়েছে। সল্টলেকের রাস্তা সংস্কার নিয়েই এদিন মন্ত্রী ও মেয়র সাংবাদিক সম্মেলন করেন। ১৪টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলারও এদিন উপস্থিত ছিলেন। টেন্ডার পেয়েছেন যাঁরা, তাঁরাও হাজির ছিলেন এদিন। সুজিতবাবু বলেন, ‘সারা বছর আমরা অনেক কাজ করছি। তবে সল্টলেকে রাস্তার সমস্যা যে রয়েছে, অস্বীকার করা যায় না। মুখ্যমন্ত্রীও বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। আমার বিধানসভার ১৪টি ওয়ার্ডের জন্য নগরোন্নয়ন দপ্তর ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। বিটুমিনের একটু সমস্যা ছিল। ইন্ডিয়ান অয়েলের সঙ্গে কথা বলেছি। আগামী এক মাসের মধ্যে সল্টলেকের চেহারা বদলে যাবে।’ তিনি জানান, কেএমডিএ আরও ১২ কোটি টাকার কাজ করছে সল্টলেকে। মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী বলেন, ‘সল্টলেকের ১৪টি ওয়ার্ডের কাজ শুরু হচ্ছে। বাকি ওয়ার্ডেও কাজ হয়েছে। যেখানে দরকার, সেখানে আবার করা হবে। আমরা এবার রাস্তার স্থায়িত্বের দিকে গুরুত্ব দিয়েছি। সংস্কারের পর কয়েক মাস যেতে না যেতেই রাস্তা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। তাই ঠিক হয়েছে, সংস্কারের পরবর্তী পাঁচ বছরের মধ্যে রাস্তা খারাপ হলে যে সংস্থা কাজ করেছে, তাদেরকেই তা ঠিক করতে হবে। তা না করলে আমরা ওই সংস্থাকে কালো তালিকাভুক্ত করব।’ - নিজস্ব চিত্র