• কোর্টের নির্দেশে ভরাট জলাভূমি পুনরুদ্ধারে পুরসভা
    এই সময় | ০১ মার্চ ২০২৫
  • এই সময়, বহরমপুর: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে জলাভূমি পুনরুদ্ধারে কোমর বেঁধে নামলো মুর্শিদাবাদের বহরমপুর পুরসভা। গত ১০ ফেব্রুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে পুকুর বুজিয়ে নির্মাণের অভিযোগের মামলার শুনানি করেন।

    তার পরেই আদালত পুরসভাকে নির্দেশ দেয়, ওই জলাশয়ের বেআইনি ভাবে ভরাট করা অংশের মাটি তুলে ফেলে জলাভূমিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে হবে। সেই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয় পুরসভাকে। আদালতের নির্দেশ মেনেই শুক্রবার বহরমপুর স্টেশন লাগোয়া এলাকার পুকুরে ভরাট করা জমির মাটি যন্ত্র দিয়ে কেটে তোলার কাজ শুরু করল পুরসভা।

    বহরমপুর পুরসভার আইনজীবী অরিন্দম দাস বলেন, ‘অবৈধ ভাবে মাটি ফেলে প্রায় আড়াই বিঘের পুকুর ভরাট করে ফেলেন পুকুর মালিক অরুণ গুহ। বিষয়টি জানতে পেরে পুকুর মালিককে জলাভূমির ভরাট করা অংশের মাটি কেটে ফেলে আগের জায়গায় ফিরিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়ে ২০২৩ সালে বহরমপুর পুরসভা চিঠি দিয়েছিল। কিন্তু মালিক তা কার্যকর করেননি। তখন কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়।’ এই কাজের জন্য দু’টি বড় মাটি কাটার মেশিন, গোটা ছ’য়েক ট্র্যাক্টর, প্রায় ৪০ জন কর্মীকে কাজে নামানো হয়েছে। পুরসভার আইনজীবী আরও বলেন, ‘এই জলাভূমিকে আগের অবস্থায় ফেরাতে পুরসভা যে টাকা খরচ করছে, তার সবটাই ওই জমির মালিকের থেকে পুরসভা আদায় করতে পারবে বলেও নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।’

    পুরসভার চেয়ারম্যান নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়ের কথায়, ‘জলা ভরাট রুখতে হাইকোর্ট যে ভাবে নির্দেশ দিয়েছে, তা পুরসভার পক্ষে মঙ্গলজনক। আমরা এই জলা ভরাটের উদাহরণ আগামী দিনে প্রচার করব নাগরিক সতর্কতার জন্য।’

    ভরাট জলা আগের অবস্থায় ফেরাতে কর্মরত পুরসভার সচিব মণীমোহন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘সব কিছু ঠিক থাকলে অন্তত একমাস লাগবে ওই জলা আগের অবস্থায় ফেরাতে।’ যদিও পুকুর মালিক অরুণ গুহ এই মুহূর্তে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ দিন ঘটনাস্থলে তাঁর এক পুত্র উপস্থিত থাকলেও তিনি অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। এমনকী, সংবাদমাধ্যমের সামনে নিজের নাম জানাতেও অস্বীকার করেন তিনি।

    তবে পুরসভা যখন পুকুর থেকে মাটি তুলছে তখন শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করে ওই পরিবার। সম্ভবত সোমবার মামলাটি শুনবে হাইকোর্ট। পুরসভার আইনজীবীদের বক্তব্য, ‘ডিভিশন বেঞ্চ কোনও রায় দেয়নি। যদি আগামী দিনে ডিভিশন বেঞ্চ জমির মালিকের পক্ষে রায় দেয়, তখন আমরা সেই রায় অনুযায়ী পদক্ষেপ করব।’

  • Link to this news (এই সময়)