• ট্যাংরা কাণ্ডের ছায়া এ বার মধ্যমগ্রামে? বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার মা-মেয়ের দেহ
    এই সময় | ০১ মার্চ ২০২৫
  • ট্যাংরা কাণ্ডের ছায়া এ বার মধ্যমগ্রামের দোহারিয়ায়। বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হলো মা ও মেয়ের মৃতদেহ। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বিকেলে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার নাম মধুমিতা রায় (৩৫)। তাঁর পাঁচ বছরের মেয়ের দেহও উদ্ধার হয়ছে। মধুমিতার স্বামী সুমন রায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, খাবারে বিষক্রিয়াতেই মৃত্যু হয়েছে মা ও মেয়ের। যদিও মধুমিতার গা থেকে কেরোসিন তেলের গন্ধও পাওয়া গিয়েছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, খাবারে বিষ মেশানোর পাশাপাশি ওই মহিলার গায়ে ঢালা হয়েছিল কেরোসিন তেলও। 

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মধুমিতার স্বামী সুমন রায় একটি কারখানাতে কাজ করেন। ৭ বছর আগে মধুমিতার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। মধ্যমগ্রামে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন তাঁরা। শুক্রবার কাজ থেকে ফিরে সুমন দেখেন বাড়ির দরজা বন্ধ। একাধিকবার তিনি ডাকাডাকি করেন স্ত্রী ও মেয়েকে। কিন্তু কেউ জবাব না দেওয়ায় তিনি মধুমিতাকে ফোনও করেন। এরপর স্থানীয় বাসিন্দাদের ডেকে দরজা খোলার ব্যবস্থা করেন সুমন। সেই সময়েই ঘরের বিছানা থেকে ওই নাবালিকা এবং রান্নাঘর থেকে মধুমিতার দেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয়রাই মা ও মেয়েকে একটি স্থানীয় নার্সিংহোমে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। শনিবার মা ও মেয়ের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে।

    জানা গিয়েছে, ঘটনার দিনে সুমনকে একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ করেন মধুমিতা। সেখানে তিনি লেখেন, তাঁর মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। এই মেসেজ কাজের চাপে চোখ এড়িয়ে যায় সুমনের।

    মধুমিতা কি আদৌ আত্মহত্যা করেছেন? নাকি মৃত্যুর নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও রহস্য? উঠছে প্রশ্ন। স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার মধুমিতা প্রতিবেশীর থেকে নেওয়া ধারের টাকা শোধ করেন। সেই সময়েও তিনি হাসিখুশিই ছিলেন। কী এমন ঘটল পরের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে? উঠছে প্রশ্ন। স্থানীয়দের দাবি, স্বামীর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল মধুমিতার। তিনি তাঁর মেয়েকে নিয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন, তা মানতে নারাজ পরিবারের অন্য সদস্যরাও। পুলিশ জানাচ্ছে, গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

  • Link to this news (এই সময়)