কলকাতা পুরসভার মডেল স্কুল চত্বরে মদ্যপানের অভিযোগ, শুনলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম
হিন্দুস্তান টাইমস | ০১ মার্চ ২০২৫
এবার কলকাতা পুরসভার মডেল স্কুল চত্বরে মদ্যপান করার অভিযোগ উঠল এলাকার কয়েকজন যুবকের বিরুদ্ধে। আর এই অভিযোগ সাধারণ মানুষের কাছ থেকে নিজে কানে শুনতে হল মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে। যা শুনে তিনি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। এমন কাজ কারা করছে? তা দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। কলকাতা শহরের মতো জায়গায় খোদ কলকাতা পুরসভার মডেল স্কুল চত্বরে মদ্যপান যে বরদাস্ত করা হবে না সেটা জানিয়ে দিয়েছেন মেয়র। এই পুরসভার স্কুলটি মেয়র ফিরহাদ হাকিমের ৮২ নম্বর ওয়ার্ডের বাগদিপাড়ায়। সুতরাং সরাসরি তাঁর উপর দায়িত্ব বর্তায়। এই কারণেই মেয়র অত্যন্ত ক্ষুব্ধ।
এবার এই কলকাতা পুরসভার মডেল স্কুল চত্বরে মদ্যপানের অভিযোগ শুনতে হল ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে। যা মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে বেজায় বিড়ম্বনায় ফেলে। শুক্রবার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে ফোন করে এই অভিযোগ জানান ওই এলাকার স্থানীয় এক ব্যক্তি। তিনি মেয়রকে জানান, কয়েক মাস আগে বাগদিপাড়ায় মেয়র যে পুরসভার মডেল স্কুলটির উদ্বোধন করেছিলেন এখন সেই স্কুলের চত্বরে কিছু স্থানীয় যুবক রোজ প্রকাশ্যে মদ্যপান করছে। তাতে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এখানে আসা পড়ুয়ারা অনেকে ভয় পাচ্ছে। আবার তাদের মধ্যেও খারাপ বার্তা যাচ্ছে।
এভাবে যদি দিনের পর দিন মদ্যপান চলতে থাকে তাহলে পড়ুয়ারা আসার উৎসাহ হারাবে। অভিভাবকরা এসব দেখতে পেলে পড়ুয়াদের নাও পাঠাতে পারেন। দ্রুত যেন পদক্ষেপ করা হয়। এই অভিযোগ ওই জনৈক ব্যক্তির কাছ থেকে নিজে কানে শুনে ক্ষুব্ধ মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘ওই স্কুলে তালা দেওয়া থাকে বলেই জানি। ওখানে মদ্যপান করতে যুবকরা কী করে ঢুকবেন?’ এই প্রশ্ন শুনেই অভিযোগকারী জনৈক ব্যক্তি জোর গলায় টেলিফোনে বলতে থাকেন, ‘আপনি বিশ্বাস করুন রোজ ওই স্কুল চত্বরে স্থানীয় বেশ কয়েকজন যুবক রাতে মদ খেতে বসে। আপনি খোঁজ নিলেই সত্যটা জানতে পারবেন।’
এই কথা শুনে বেশ চমকে যান মেয়র। তখন গ্রাউন্ড রিপোর্ট জানতে শিক্ষা বিভাগের সংশ্লিষ্ট অফিসারদের কাছে ফিরহাদ হাকিম জানতে চান, ওই পুরসভার মডেল স্কুলের চাবি স্থানীয় কারও কাছে থাকে কিনা। সেটা খোঁজ নিয়ে জানাবেন বলেছেন অফিসার। এই সব কথা শুনে মেয়র তখন জানান, ওই মডেল স্কুলের পাশে কয়েকমাস আগে স্থানীয় একটি উৎসব হয়। তার জন্য প্যান্ডেল করা হলেও প্যান্ডেলের সব বাঁশ এখনও খোলা হয়নি বলে খবর পাচ্ছেন তিনি। তারপরই মেয়রের কথায়, ‘রাতে বাড়ি ফেরার আগে ওই স্কুল দেখতে যাব। কথা বলব স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে। বাগদিপাড়ায় সব কিছু খতিয়ে দেখা হবে।’