পরিবহণমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে সমস্যা সমাধান, ঘুরল ৪৬ রুটে বাসের চাকা
প্রতিদিন | ০১ মার্চ ২০২৫
নব্য়েন্দু হাজরা: বহিষ্কৃত রুট সেক্রেটারির দাদাগিরির জেরে তিনদিন ধরে বন্ধ ছিল ৪৬ নম্বর রুটের প্রায় সমস্ত বাস। দুর্ভোগে পড়েছিলেন বাগুইআটি, কেষ্টপুর, চিনারপার্ক-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষজন। তবে শুক্রবার রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীর হস্তক্ষেপে জটিলতা কাটল। শনিবার স্বাভাবিক হবে পরিষেবা। শুক্রবার অনেক রাত পর্যন্ত বাস মালিক সংগঠন ও চালকদের বৈঠকে সমাধান সূত্র বের হয়। বাস মালিকদের একাংশের অভিযোগ ছিল, প্রাক্তন রুট সম্পাদক হীরালাল কেওর কিছু শ্রমিককে নিয়ে অবৈধভাবে ওই রুট পরিচালনা করতে চান। গত চার-পাঁচ মাস ধরে তিনি নানাভাবে মালিকদের উপর চাপ সৃষ্টি করে টাকা আদায় এবং মারধরের হুমকি দিয়ে আসছেন।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি হীরালাল ও তার দলবল শ্রমিকদের ভয় দেখিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয়। তারপর থেকে আর গাড়ির চাকা গড়ায়নি ওই রুটে। ওই নেতা পুজোর বোনাসের টাকাও নয়ছয় করেছে বলে অভিযোগ। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার থেকে শুক্রবার রাত পর্যন্ত ৪৬, ৪৬এ এবং ৪৬বি রুটের ৬৩টি বাসের একটিও রাস্তায় নামেনি। সাধারণ মানুষ রোজই বাসস্ট্যান্ডে এসে ফিরে গিয়েছে। বিমানবন্দর থেকে বাগুইআটি, কেষ্টপুর, চিনারপার্ক এবং কাঁকুড়গাছি হয়ে কলেজ স্ট্রিট পর্যন্ত যায় এই বাসগুলি। রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, “আমরা পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছি। তাঁরা দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কোনওভাবেই যাত্রী পরিষেবা বন্ধ করাকে বরদাস্ত করবে না সরকার। শনিবার থেকে স্বাভাবিক হয়ে যাবে বাস রুটগুলোর পরিষেবা।”
বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেটের সহ সভাপতি সুরজিৎ সাহা বলেন, “সমস্যা আপাতত মিটেছে। শনিবার থেকে বাস পরিষেবা স্বাভাবিক হবে।” বাস মালিকদের অভিযোগ, স্থানীয় আইএনটিটিইউসি নেতা হীরালাল কেউর গত ৪/৫ মাস ধরে বাস মালিকদের নামে কুৎসা রটাচ্ছিল, কর্মচারীদের মালিকদের বিরুদ্ধে খেপিয়ে তুলছিল। বাস মালিকদের থেকে মাসে প্রায় ৪০ হাজার টাকা বেতন ও বাসের পিছনে যে বিজ্ঞাপন দেওয়া থাকত সেখান থেকে মাসে প্রায় ২৫ হাজার টাকা নিত। সেগুলো বন্ধ করেছিল বাস মালিকরা তাই বিভিন্নভাবে বাস চালক ও কর্মচারীদের কাজ করতে বিরক্ত করছিল সিন্ডিকেট নেতা। এসবের জেরেই বাস বন্ধ হয়েছে তিনদিন ধরে।