শনিবার ওয়েবকুপার রাজ্য সম্মেলন চলার সময় অশান্তির পরিবেশ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। সভা শুরু হতেই চরম বিশৃঙ্খলা। এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁকে ঘিরেও প্রবল বিক্ষোভ দেখানো হয়। পাশাপাশি ব্রাত্যর কনভয়ে থাকা একটি গাড়ির চাকা থেকে হাওয়া বার করে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে।
সবমিলিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়েবকুপার এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রীতিমতো তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয়। শনিবার সকাল থেকেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে স্লোগান উঠছিল, ‘অবিলম্বে চাই ছাত্র সংসদের নির্বাচন, সভায় সেই ঘোষণা করুন শিক্ষামন্ত্রী।’
এ দিন দুপুরে নির্দিষ্ট সময়ে শুরু হয় ওয়েবকুপার সভা। সেখানে বক্তব্য রাখতে উঠেছিলেন ব্রাত্য বসু। অভিযোগ, সেই সময়ে এসএফআই-এর কয়েকজন সমর্থক সেখানে পৌঁছে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি জানাতে শুরু করেন। ভাষণ দেওয়ার সময় ব্রাত্যকে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কয়েকজন বিক্ষোভকারী দেখা করার আবেদনও করেন। ব্রাত্য বসু অনুষ্ঠান শেষ করে কয়েকজনের সঙ্গে দেখা করতে রাজি হন। কিন্তু পরবর্তীতে বিভিন্ন বাম সংগঠনের প্রায় ৪০ জনের একটি প্রতিনিধি দল ব্রাত্য বসুর সঙ্গে দেখা করতে চান। এরপরেই শিক্ষামন্ত্রী স্পষ্ট জানান, তিনি প্রতিটি সংগঠন থেকে ২ জনের বেশি সদস্যের সঙ্গে দেখা করবেন না।
এরপরেই বিক্ষোভের সুর আরও চরম ওঠে। এ দিন বৈঠক শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বার হওয়ার মুখেও বিক্ষোভ দেখানো হয় ব্রাত্যকে ঘিরে। তার গাড়ির কাচের উপর ঘুসি মারা হয়। তাঁর কনভয়ে থাকা গাড়ির চাকা থেকে হাওয়া খুলে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তাঁর গাড়ি ক্যাম্পাস থেকে বার হওয়ার সময় কয়েকজন বিক্ষোভকারী সামনে শুয়ে পড়েন। তাঁদের হঠিয়ে দেন তৃণমূলের শিক্ষাকর্মীরা।
ব্রাত্য বসু এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমাকে প্ররোচিত করার চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু আমি ক্যাম্পাসে পুলিশ ডাকব না। তবে যে বা যাঁরা এই অশান্তি, বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে যাতে উপাচার্য পরবর্তীতে এফআইআর করেন, সেই আবেদন করব।’
অন্যদিকে, এ দিন ছুটি থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে যান উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত। তিনি বলেন, ‘এই ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’ এ দিন ব্রাত্য বসুর গাড়ি ক্যাম্পাস ছাড়ার পর বিক্ষোভে আহত এক ছাত্রকে কেপিসি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়।