• বাসন্তীতে ম্যানগ্রোভ কেটে সাফ, নির্বিকার প্রশাসন
    এই সময় | ০১ মার্চ ২০২৫
  • এই সময়, বাসন্তী: সুন্দরবনে ম্যানগ্রোভ নিধনযজ্ঞ অব্যাহত। নজরদারি নেই স্থানীয় প্রশাসন থেকে বন দপ্তরের। যার ফলশ্রুতিতে প্রায় প্রতিদিনই নির্বিচারে কেটে ফেলা হচ্ছে হরেক প্রজাতির ম্যানগ্রোভ।

    বাসন্তী গ্রাম পঞ্চায়েতের মুড়োখালি একেবারে মাতলা নদীর তীরবর্তী এলাকা। গ্রাম লাগোয়া নদীর পাড় বরাবর চরে রয়েছে বাইন, গেঁওয়া, কাঁকড়ার মতো বিভিন্ন প্রজাতির ম্যানগ্রোভের জঙ্গল। যা সুন্দরবনের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান ভূমিকা গ্রহণ করে।

    সেই সব ম্যানগ্রোভ প্রত্যেক দিনই কেউ না কেউ কেটে ফেলছে। কেউ করছে জ্বালানি, অনেকে আবার ইটভাটায় বিক্রি করছে। মাটির বাড়ি তৈরির কাজ থেকে শুরু করে বাগানের সব্জি চাষ করার কাজেও ম্যানগ্রোভ ব্যবহার করা হচ্ছে।

    দিনের পর দিন এ ভাবে ম্যানগ্রোভ ধ্বংস করা হলেও কোনও হেলদোল নেই প্রশাসনের। বন দপ্তরও উদাসীন। স্থানীয় বাসিন্দা মুস্তাফা আলি মোল্লা বলেন, ‘ম্যানগ্রোভ আমাদের কতটা উপকার করে সেটা যদি এখানকার মানুষ বুঝত তাহলে এ ভাবে গাছ কেটে ফেলত না। তবে প্রশাসন যদি কঠোর হতো তা হলে এই অসচেতন মানুষ গাছ কাটার সুযোগ পেত না। অবিলম্বে প্রশাসনের উচিত যারা ম্যানগ্রোভ কাটছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা।’

    বাসন্তীর বিজেপি নেতা বিকাশ সর্দার বলেন, ‘তৃণমূলের মদতেই এই ম্যানগ্রোভ কেটে বেআইনি ভেড়ি বানানো হচ্ছে। জায়গা দখল করে বিক্রি করা হচ্ছে গৃহ নির্মাণের জন্য। এই কাজে প্রশাসনের যোগসাজশ রয়েছে।’ বাসন্তী সিপিএমের এরিয়া কমিটির সম্পাদক ইউদ আলি শেখ বলেন, ‘ম্যানগ্রোভ কাটা মানে নিজেদেরই সর্বনাশ ডেকে আনা। প্রশাসনের উচিত এ বিষয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো।’

    তৃণমূল নেতা তথা বাসন্তী পঞ্চায়েত সমিতির বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ সাহেব সর্দার বলেন, ‘বিরোধীরা জানেই না মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বাসন্তী–সহ গোটা সুন্দরবন জুড়ে কোটি কোটি ম্যানগ্রোভ গাছ লাগানো হচ্ছে পরিবেশ রক্ষার্থে।’ এই প্রসঙ্গে বন দপ্তরের ডিএফও নিশা গোস্বামী বলেন, ‘মুড়োখালিতে আমাদের দপ্তরের কর্মীরা গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

  • Link to this news (এই সময়)