আজকাল ওয়েবডেস্ক: মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে গণধর্ষণের অভিযোগ। ঘটনায় জড়িত অভিযোগে উত্তেজিত জনতার এক কিশোরকে ল্যাম্পপোস্টে বেঁধে গণধোলাই। পুলিশ গিয়ে ওই কিশোরকে উদ্ধার করে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামে। নির্যাতিতা কিশোরীর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়েছে। ধৃত কিশোরকে হোমে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা কিশোরী ও অভিযুক্ত দুই কিশোর মধ্যমগ্রাম পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সারদাপল্লি মাঠপাড়ার বাসিন্দা।অভিযোগ, ওই দুই কিশোর দীর্ঘদিন ধরে কিশোরীকে উত্যক্ত করছিল। দুই কিশোরকে সে ব্যাপারে সতর্কও করা হয়েছিল। দিন কয়েক আগে মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হয়েছে। ওই দুই কিশোর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ওই কিশোরীকে একটি ভাড়াবাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়।
সেখানে নিয়ে ওই কিশোরীর উপর যৌন নির্যাতন চালানো হয়। অভিযোগ, একজন যখন কিশোরীর ওপর যৌন নির্যাতন চালাচ্ছিল, অন্যজন পাশে দাঁড়িয়ে মোবাইলে সেই কুকর্মের ভিডিও ছবি তুলছিল। পরে সেই ছবি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। তা নজরে আসতেই অভিযুক্ত এক কিশোরকে স্থানীয় বাসিন্দারা ধরে নিয়ে ল্যাম্প পোস্টে বেঁধে গনধোলাই দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মারমুখী জনতার হাত থেকে ওই কিশোরকে উদ্ধার করে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ওই কিশোরের বিরুদ্ধে আগেও এই ধরনের অভিযোগ রয়েছে।
বারাসতের জেলার পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খাড়িয়া বলেন, 'নির্যাতিতা কিশোরীর মেডিকেল টেস্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁর গোপন জবানবন্দি নেওয়ার প্রক্রিয়াও চলছে। নির্যাতিতাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে কিনা, তা মেডিক্যাল রিপোর্ট এলে স্পষ্ট হবে।'