• একই এপিকে কোচবিহার ও উত্তরপ্রদেশের ভোটার, আর কত আছে? খুঁজছে তৃণমূল 
    আজকাল | ০১ মার্চ ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: কোচবিহারের মাথাভাঙা ২ নং ব্লকের পশ্চিম খেতি এলাকার ভোটার তপন সিদ্ধা। মাথাভাঙ্গা বিধানসভার এই ভোটারের এপিক নাম্বার-এ নাম রয়েছে উত্তরপ্রদেশের দিদারগঞ্জের জনৈক পাপ্পু নামে আর এক ভোটারের। প্রায় ৮০০ কিলোমিটার দূরত্বে বসবাসকারী তপন ও পাপ্পুর একই এপিক নম্বর কীভাবে হল আপাতত সেবিষয়ে কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। 

    অভিযোগ, তপনের মতোই আরও বেশ কয়েকজন ভোটারের এপিক নম্বরের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে উত্তর প্রদেশের ভোটারদের নাম। যা নিয়ে শুরু হয়েছে কোচবিহারে রাজনৈতিক চাপান-উতোর।

    কোচবিহার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক অভিযোগ করেন, ভোটার তালিকায় ভুয়ো নাম ঢুকিয়ে বেছে বেছে তাঁদের সমর্থকদের ভোট বাতিলের চক্রান্ত করছে বিজেপি। ওই ফর্মুলাতেই বিধানসভা পিছু কয়েক হাজার তৃণমূলের নিশ্চিত ভোট বাতিলের পরিকল্পনা করেছে পদ্ম নেতৃত্ব।

    তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রে শাসকের আসনে থাকায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভোটার তালিকায় কারচুপি করছে বিজেপি। তারা যেসব রাজ্যে ক্ষমতাসীন সেই সব রাজ্যের বাসিন্দাদের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের ভোটারদের এপিক নম্বর যুক্ত করে চুপিসারে তৃণমূলের ভোটারদের ভোট বাতিল করতে চাইছে।

    এ বিষয়ে বিজেপি জেলা সভাপতি তথা কোচবিহার উত্তর বিধানসভার বিধায়ক সুকুমার রায় জানান, তৃণমূলের জেলা সভাপতির দাবি হাস্যকর। কারা ছাপ্পা ভোট দেয় সেটা সকলেই জানে।

     প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবার কলকাতায় তৃণমূলের দলীয় সভায় ভোটার তালিকায় কারচুপির বিষয়টি সামনে এনে তার বিরুদ্ধে কর্মীদের পথে নামার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরেই জেলায় জেলায় তোড়জোড় আরও বেড়েছে। ৩ মার্চ দলের সর্বস্তরের নেতৃত্বকে নিয়ে বিশেষ বৈঠক ডেকেছেন কোচবিহার জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই বৈঠক থেকেই পরবর্তী পদক্ষেপ ঘোষণা করবেন তারা।
  • Link to this news (আজকাল)