• বেহালায় বাবা-মেয়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার! চাঞ্চল্য
    বর্তমান | ০১ মার্চ ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: অসুস্থ মেয়ে। সেই কারণেই অবসাদে ভুগতেন বাবা। এবার সেই অসুস্থ মেয়েকে নিয়েই আত্মঘাতী হলেন বাবা। গতকাল, শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বেহালার পর্ণশ্রীতে। মৃতেরা হলেন সজন দাস (৫৩) ও তাঁর কন্যা সৃজা দাস (২২)। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁরা পর্ণশ্রীর হো-চি-মিন সরণির বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, অটিজমে আক্রান্ত ছিলেন মেয়ে সৃজা। তাঁর শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসার খরচ নিয়ে সবসময়ে চিন্তা করতেন সজন। পুলিসের অনুমান সেই কারণেই নিজের মেয়েকে সঙ্গে নিয়েই আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। বেহালার পর্ণশ্রীর হো-চি-মিন সরণিতেই অফিস রয়েছে সজনবাবুর। চিমনি বিক্রি ও সারানোরা কাজ করতেন তিনি। সঙ্গে ছিল ওয়াটার পিউরিফায়ারের ব্যবসাও। মূলত, মেয়ের চিকিৎসার খরচ জোগাতেই একাধিক ব্যবসা করতেন সজনবাবু, এমনটাই অনুমান পুলিসের। তাঁর পরিবার জানিয়েছে গতকাল, শুক্রবার মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে পিজিতে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন সজন। কিছুক্ষণ বাদেই স্ত্রীকে ফোন করে জানান, পিজিতে তিনি পৌঁছে গিয়েছেন। তারপর দীর্ঘক্ষণ কেটে গেলেও বাবা ও মেয়ের কোনও খোঁজখবর পাওয়া যায়নি। সজনের স্ত্রী একাধিকবার ফোন করলেও তাঁদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করতে পারেননি। তখনই সজনের বন্ধুদের গোটা বিষয়টি জানান তাঁর স্ত্রী। এমনকী সজনের বন্ধুরাও সজনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। এরপরই তাঁদের সন্দেহ হয়। বেশ কয়েকজন বন্ধু শকুন্তলা পার্কের অফিসে পৌঁছন। তাঁরা গিয়ে দেখেন, অফিসের ভিতরে আলো জ্বলছে, এসিও চলছে। বাইরে থেকে ডাকতে শুরু করেন। কিন্তু কারও কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। তাই দেরি না করে কিছুক্ষণ বাদেই দরজা ভেঙে অফিসের ভিতরে ঢোকেন সকলে। তখনই দেখেন ফ্যানে একটি দড়ির দু’প্রান্তে ঝুলছেন বাবা ও মেয়ে। তড়িঘড়ি পর্ণশ্রী থানায় খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস। মৃতদেহগুলিকে উদ্ধার করে ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিস গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
  • Link to this news (বর্তমান)